বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তুরিন, ২০ জানুয়ারি: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দুরন্ত জোড়া গোলে পারমাকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে নিজেদের অবস্থান মজবুত করল জুভেন্তাস। ২০ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৫১ পয়েন্ট। উল্লেখ্য, লিগের গত দু’টি ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্তার মিলান (২০ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট)। রবিবার পারমার চ্যালেঞ্জ এড়ানোর পর জুভেন্তাসের কোচ মরিসিও সারি বলেছেন, ‘আত্মতুষ্ট হওয়ার জায়গা নেই। লিগ এখনও অনেক বাকি। তাই চ্যাম্পিয়নশিপের কথা ভাবছি না। ম্যাচ বাই ম্যাচ এগতে হবে। পারমা যথেষ্ট লড়াকু প্রতিদ্বন্দ্বী। এদিনও ওরা সমতা ফিরিয়ে আমাদের জয়ের পথে কাঁটা ছড়িয়েছিল। কিন্তু রোনাল্ডোর অনবদ্য পারফরম্যান্স আমাদের মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে।’
কয়েক দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডো বলেছিলেন, সিরি-এ’র সর্বাধিক গোলদাতা হতে পারলে তিনি বিশেষ আনন্দ পাবেন। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। পর্তুগিজ মহাতারকাটির গোলসংখ্যা ১৬। শীর্ষে লাজিওর সিরো ইম্মোবাইল (২৩)। পারমার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে রোনাল্ডো বুঝিয়ে দিয়েছেন, লক্ষ্যে পৌঁছতে তিনি কতটা মরিয়া। এই ম্যাচে তাঁর দু’টি গোলেই রয়েছে ক্ষিপ্রতার ছাপ। বিরতির মিনিট দুয়েক আগে বিপক্ষ বক্সের বাঁ দিক থেকে ইনসাইড কাট করে ভিতরে ঢুকে নেওয়া তাঁর শট পারমার এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জালে জড়ায় (১-০)। প্রথমার্ধে গোলের জন্য তিনি বারবার প্রান্ত বদল করেছেন। কোমরের দোলায় দু’বার গোলমুখ খুলেও ফেলেছিলেন সিআরসেভেন। কিন্তু বিপক্ষ গোলরক্ষক সপ্রতিভ থাকায় লক্ষ্যভেদ হয়নি। তাই বিরতির আগে জাল কাঁপাতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রারম্ভিক পর্বে স্কোজারেলার কর্নার থেকে কর্নেলিয়াসের হেড সমতায় ফেরায় পারমাকে (১-১)। এই পর্বে তারাও জুভেন্তাস রক্ষণের পরীক্ষা নিয়েছে। কিন্তু রোনাল্ডোর অসীম গোলক্ষুধার কারণেই শূন্য হাতে ড্রেসিং-রুমে ফিরতে হল তাদের। ৫৮ মিনিটে পাওলো ডায়বালার পাস থেকে নিখুঁত শটে গোল করে সমর্থকদের আশ্বস্ত করেন তিনি (২-১)। এরপর ডায়বালা ও পরিবর্ত হিসেবে নামা গঞ্জালো ইগুয়েন সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান বাড়তেই পারত। তুরিনের এক রেডিও চ্যানেলকে ম্যাচের পর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গিয়ানলুইগি বুফোঁ বলেন, ‘রোনাল্ডো এবার দুরন্ত ছন্দে। ওকে ঘিরেই আমরা সিরি-এ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখছি। আক্রমণের সময় বিপক্ষ বক্সে কখন কোথায় থাকতে হবে তা ওর থেকে ভালো কেউ জানে না। রোনাল্ডোর পাশে খেলে এখন অনেক পরিণত পাওলো ডায়বালা। মাঝেমধ্যে খেলা থেকে হারিয়ে যাওয়ার রোগ ক্রমশ কাটিয়ে উঠছে ও। এছাড়া পরিবর্ত হিসেবে নেমে নিয়মিত গোলের মধ্যে রয়েছে গঞ্জালো ইগুয়েনও। তাই আমাদের আপফ্রন্টকে গুরুত্ব দিতে বাধ্য বিশ্বের যে কোনও রক্ষণ।’