ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
ট্রিপল সেঞ্চুরির পর মনোজ বলেছেন,‘আইপিএলে সুযোগ না পাওয়াটা মেনে নিতে পারিনি। বাড়িতে বসে খেলা দেখতে আমার প্রচণ্ড কষ্ট হবে। কারণ. সীমিত ওভারের ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হয় তা আমি জানি। চলতি মরশুমে সিএবি আমাকে বাংলার নেতৃত্ব দেয়নি। তাই জেদ বেড়েছিল। রনজি ট্রফিতে জীবনের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করে আমি সত্যিই খুশি। এরপর ভারতীয় দলে ডাক পাব কি না তা অবশ্য নির্বাচকরাই ঠিক করবেন। আমার কাজ রান করা। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আমি ৮৭৫২ রান করেছি। গড় পঞ্চাশেরও বেশি। নেটে গত কয়েক মাস আরও বেশি করে সময় দিয়েছি। ছোটবেলার কোচ মানবেন্দ্র ঘোষ আমাকে সাহায্য করেছেন। তাই এত বড় রানের ইনিংস খেলতে পারলাম।’
কল্যাণীতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বাংলা রনজি ট্রফির প্রথম দিনে ৫ উইকেটে ৩৬৬ রান তুলেছিল। ১৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মনোজ তিওয়ারি। এদিন হায়দরাবাদের বোলার রবি কিরণ, রবি তেজা, এম হাসানদের বিরুদ্ধে তুখোড় ব্যাটিং করে মনোজ তিওয়ারি ৩০৩ রানে নট আউট থাকেন। প্রথম দিনের থেকেও সোমবার তাঁকে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক দেখিয়েছে। মনোজের ৩০৩ রানের ইনিংস সাজানো রয়েছে ৩০টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। মোট সাড়ে দশ ঘণ্টা উইকেটে ছিলেন তিনি। দেড় দশকের বেশি বাংলার হয়ে রনজি ট্রফিতে খেলছেন মনোজ। এটাই বাংলার হয়ে তাঁর সর্বাধিক রান। মনোজের আগে রনজি ট্রফিতে বাংলার হয়ে একটাই ট্রিপল সেঞ্চুরি আছে। ১৯৯৮-৯৯ মরশুমে দেবাং গান্ধী অসমের বিরুদ্ধে ৩২৩ রান করেছিলেন। সোমবার পড়ন্ত বিকেলে পরিশ্রান্ত হায়দরাবাদকে দেড় ঘণ্টা ব্যাট করার সুযোগ দেওয়ার জন্য মনোজের ট্রিপল সেঞ্চুরির পরেই দান ছেড়ে দেয় বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট। না হলে মনোজ এদিন দেবাং গান্ধীর রেকর্ড ভেঙে দিতে পারতেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাকে ছয়শোর গণ্ডি পার করতে মনোজ তিওয়ারিকে যোগ্য সঙ্গত করেন অর্ণব নন্দী। তিনি ৮৩ বলে ৬৫ রান করেছেন। হায়দরাবাদের রবি কিরণ ৭৪ রানে ৩টি উইকেট পেয়েছেন।বাংলার দুই পেসার আকাশ দীপ (৪৬ রানে ৩ উইকেট) ও মুকেশ কুমারের (২৯ রানে ২ উইকেট) বোলিংয়ের সামনে হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি। মাত্র ৫৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায়। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে জায়েদ আলি এবং টিডি আগরওয়াল ২৯ রান যোগ করেন।