পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার বাসিন্দারা ‘বাঘ’-এর সন্ধান করতে লেগে পড়েন। খোঁজ শুরু করে দেয় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতও। এলাকায় বাঘ বের হওয়ার গুজব যাতে না ছড়ায় তার জন্য হাজির হয়ে যায় পুলিসও। ভিডিওটি পাঠানো হয়েছে বনদপ্তরকে। তবে এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে এই প্রাণীটিকে শনাক্ত করা যায়নি। পাশাপাশি আগে শোনা না গেলেও আজই শোনা যাচ্ছে যে, পাশের চাষের জমিতেও ক’দিন ধরে অপরিরিচত কোনও প্রাণীর পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে।
বাসিন্দারা প্রত্যেকেই এই প্রাণীটিকে শনাক্ত করতে নিজের নিজের মত করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে শরণাপন্ন হয়েছেন বন্যপ্রাণী বিশারদের কাছেও। সেই বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আর যাই হোক বাঘ হতে পারে না। কারণ টপ ভিউ থেকে ওঠা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে গাড়িটির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, সেটির চাকার উচ্চতার সমতূল্যই ওই প্রাণীটির উচ্চতা। বাঘ আরও উচ্চতা সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয়ত, দূর থেকে হলেও কোনওভাবেই বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগ দেখা যাচ্ছে না। প্রাণীটির ল্যাজটি মোটা ও ছোট যা বাঘের আকৃতির মত একেবারেই নয়। এইসব থেকে এবং স্থানীয়দের থেকে পাওয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, কোন্নগরের ওই এলাকায় বহুদিন যাবৎ ভামবিড়াল-পটাশদের বাসভূমি। সম্প্রতি রিষড়ার বাগখাল এলাকায় একটি বাঘরোলের মৃতদেহও উদ্ধার হয়েছে। তাই এক্ষেত্রেও প্রাণীটি বাঘরোল হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এলাকায় বাঘের আতঙ্ক চলছেই।