ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শতবর্ষে আই লিগের প্রথম সাতটি ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট (মাত্র দুটি জয়) নষ্ট করার পরও আলেজান্দ্রোর মুখে বড় বড় কথা। এমনকী নিজস্ব ভঙ্গিতে যুক্তির জাল দিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে তিনি সটান মিথ্যা কথাও বলে গেলেন। বেশ গর্বের সঙ্গে তিনি বলেন,‘গত দেড় বছরে চারটি ডার্বি খেলেছি। দুটিতে জিতেছি। একটি ড্র। এই প্রথম হারলাম। ডার্বিতে আমার রেকর্ড কী এমন খারাপ? গত ১৪ বছরে ইস্ট বেঙ্গলকে আই লিগেও দ্বিতীয় কেউ করতে পারেননি।’
কিন্তু ঘটনা হল, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। মরগ্যানের আমলে দু’বার রানার্স হয়েছে ইস্ট বেঙ্গল। মরগ্যান তো তিন বছরে আটটি ট্রফি দিয়ে গিয়েছেন। গর্ব খর্ব হওয়ার দিনে আলে স্যারের এই মিথ্যা কথা নিয়ে কোচকে একহাত নিয়েছেন ক্লাবের শীর্ষ কর্তা। স্টেডিয়াম থেকে বেরনোর মুখে তিনি বলেন,‘উনি ইস্ট বেঙ্গলের ইতিহাসই জানেন না। জানলে লাল হলুদে কোচিং করতে আসার সাহস দেখাতেন না। আমরা তো সেই অক্টোবর থেকে বলে আসছি এই দল মুখ থুবড়ে পড়বে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সুযোগ পেয়েও তো উনি খেলোয়াড় বদল করতে রাজি হলেন না।’
প্রথম গোলের সময়ে স্টপার মেহতাব সিং ও ক্রেসপি একই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ইস্ট বেঙ্গল রক্ষণের দুর্বলতার প্রসঙ্গ উঠতেই জ্বলে ওঠেন তিনি। পাল্টা প্রশ্নকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘রক্ষণে কিসের খামতি? ওরা তো অনবদ্য গোল করেছে।’ পরিসংখ্যান বলছে, ইস্ট বেঙ্গল সাতটি ম্যাচে ১০ গোল খেয়েছে। আই লিগের প্রথম দুটি ম্যাচের পর রক্ষণ অনেকটা সাজিয়ে নিয়েছেন কিবু ভিকুনা। আলে স্যার এখানেও কিন্তু পাস মার্ক পাচ্ছেন না। এই রকম খেললে শতবর্ষে ইস্ট বেঙ্গল ট্রফি শূন্য থাকবে। আপাতত গত দেড় বছরে ইস্ট বেঙ্গল তিনটি ট্রফি খেললেও সবেতেই ব্যর্থ। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলে রেগে যান ইস্ট বেঙ্গল কোচ। এদিকে, কোয়েস কর্তা সুব্রত নাগ মঙ্গলবার কলকাতায় এসে কোম্পানি গুটিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলবেন সাবেক কর্তাদের সঙ্গে।