ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
রবিবার মোহন বাগানের ডার্বি জয়ের নায়কের লক্ষ্য, আইএসএলে খেলা। আগামীবার এটিকে-মোহন বাগান এই প্রতিযোগিতায় খেলবে। সবুজ-মেরুন কর্তারা তাঁকে আগামী মরশুমে দলে রাখতে চান। বেইতিয়াও বললেন, ‘আমি কলকাতায় থাকতে চাই।’ এদিন ডার্বিতে ইস্ট বেঙ্গল ম্যাচের শেষ ২০ মিনিট মোহন বাগানকে চেপে ধরেছিল। সেই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘সত্যিই আমরা ম্যাচের শেষ ২০ মিনিট ভালো খেলতে পারিনি। বিশ্বের সব দলই দু’গোলে পিছিয়ে পড়ার পর প্রেসিং ফুটবলে মনোযোগী হয়। ওরাও সেরকম খেলেছে। তবে ম্যাচের অধিকাংশ সময় প্রাধান্য ছিল আমাদেরই। শুরু থেকে দুরন্ত গতিতে খেলার জন্য শেষদিকে কিছুটা হতোদ্যম হয়ে পড়েছিলাম আমরা। এরই সুযোগ নিয়েছে ইস্ট বেঙ্গল। মনে রাখবেন, গত ২১ দিনে আমরা ছ’টি ম্যাচ খেলেছি।’
ম্যাচের সেরা হয়ে খুশি বেইতিয়া। কিন্তু তার থেকেও তিনি তৃপ্ত ইস্ট বেঙ্গলকে হারাতে পেরে। নম্র স্বভাবের এই বিদেশি ফুটবলার স্বপ্ন দেখছেন আই লিগ জেতার। বেইতিয়া বললেন, ‘আগামী তিন-চারটি ম্যাচ থেকে আমাদের যত বেশি সম্ভব পয়েন্ট তুলে রাখতে হবে। কারণ এটা ম্যারাথন লিগ। প্রতিটি দলের উত্থান-পতন থাকবে।’
এদিন ম্যাচের পর বেইতিয়াকে নিয়ে মোহন বাগান সমর্থকদের দারুণ উন্মাদনা ছিল। অনুরাগীদের সঙ্গে দেদার সেলফি তোলেন তিনি। ৯০ মিনিট খেলার পরেও এই ব্যাপারে তাঁর বিন্দুমাত্র ক্লান্তি ছিল না। স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর সময় এক সমর্থক ৫০০ টাকার নোট বেইতিয়ার হাতে গুঁজে দেন। যা পেয়ে আপ্লুত তিনি। বললেন, ‘এই সমর্থকদের আমি ভীষণ পছন্দ করি।’
এদিকে, ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলার পর সবুজ-মেরুনের লেফট উইং হাফ নংডাম্বা নাওরেমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোহন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা। তিনি বলেন, ‘নাওরেম ভবিষ্যতে ভারতীয় ফুটবলের সম্পদ হতেই পারে। ও ইউরোপিয়ান ঘরানায় ফুটবল খেলে। অল্প জায়গার মধ্যেও ভালো ড্রিবল করতে পারে।’ কোচের পাশাপাশি এদিন নাওরেমের প্রশংসা শোনা গেল বেইতিয়ার মুখে। শেষ ২০ মিনিট ইস্ট বেঙ্গলের ঝড় রুখতে হিমসিম খেয়েছে মোহন বাগান। তার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভিকুনা বলেন, ‘ওই সময় পুরো দলটা রক্ষণে নেমে এসেছিল। সেই সুযোগে ইস্ট বেঙ্গল আক্রমণে উঠে আসে। তবে দিনের শেষে তিন পয়েন্ট পেয়েছি, এটাই যথেষ্ট। পরপর ম্যাচ খেলায় এদিন ম্যাচের গতি শেষপর্যন্ত ধরে রাখতে পারিনি। পরের ম্যাচ নেরোকার বিরুদ্ধে। পাহাড়ে গিয়ে খেলাটা সত্যিই চ্যালেঞ্জের।’
রবিবার স্টেডিয়ামের ভিআইপি টানেল দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ছেলেকে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে দেখে কোলে তুলে নিলেন বাবা ফ্রান গঞ্জালেজ মুনোজ। আদর্শ অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে ছেলের গতিবিধির দিকে খেয়াল রাখলেন মোহন বাগানের এই ইউটিলিটি ফুটবলার। পরিবারের মতো মোহন বাগান টিমেও তিনি যোগ্য লিডার। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।