রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রবিবার ডার্বি। অথচ শনিবার সকালে বিধাননগর সাইয়ের মাঠে ইস্ট বেঙ্গল প্র্যাকটিসে যেন দমবন্ধ করা পরিবেশ। ১৫ মিনিটের বেশি প্র্যাকটিসে থাকার অনুমতি নেই সংবাদমাধ্যমের। সাংবাদিকদের অনুভূতি তখন অনেকটাই রবাহূতের মতোই! কোয়েস ও সাবেক ইস্ট বেঙ্গল কর্তারা উপস্থিত থাকলেও তাঁদের মধ্যে তৈরি হয়েছে কয়েক যোজন দূরত্ব। ডার্বির আগে প্রিয় দলের ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে একজনও লাল-হলুদ সমর্থকের টিকি দেখা গেল না। অনুশীলন শেষ হওয়ার পর দু’একজন উৎসাহী সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের গতিবিধি সাইয়ের মূল গেটের চৌহদ্দি পেরোয়নি।
কর্তাদের নির্দেশে ফুটবলাররাও পুরোপুরি যন্ত্রচালিত রোবট। প্রশ্নের চিমটি কাটলেও কাসিম-কোলাডোরা নিরুত্তর। ক্লাব মালিকের ভয়ে তাঁদের মুখ বন্ধ। কিন্তু ইস্ট বেঙ্গলের সাবেক কর্তারা চুপ থাকবেন কেন? কোয়েসের ৭০ শতাংশ মালিকানায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কর্তারা এদিন মিডিয়ার সামনে যেই মুখ খুলতে গেলেন, তখন কোয়েস কর্তারা পেশাদারি ঠাঁটে তাঁদের কথা বলার সময় বেঁধে দিতে গিয়ে বাড়ালেন বিপত্তি। শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের ম্যানেজার ও চিফ অপারেশন ম্যানেজারকে ঝাঁঝিয়ে বলে দিলেন, ‘আপনাদের কাজ করুন। আমার কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না।’ সেই জবাব শুনে কোয়েস ম্যানেজমেন্টের প্রতিনিধিদের তেতো গেলার মতো অবস্থা! কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের সংসারে আগুন লাগার খবর গোটা ভারতীয় ফুটবল জেনে গিয়েছে। শনিবার তারই ঝলক প্রকাশ্যে এল। ৩১ মে কোয়েস ও ইস্ট বেঙ্গলের মধুচন্দ্রিমা শেষ হতে চলেছে। তা সত্ত্বেও লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘আগামী মরশুমে ক্লাব আইএসএলে খেলবে।’
যখন এই কথা চলছে তখন নির্ধারিত ১৫ মিনিট অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বেরনোর জন্য প্রতীক্ষায় আলেজান্দ্রো। নাহলে তিনি যে প্ল্যান ‘বি’ ও ‘সি’ তৈরি করতে পারছেন না! নির্ধারিত ১৫ মিনিটেও মিডিয়াকে এড়িয়ে যাওয়ার কী মরিয়া প্রচেষ্টা আলেজান্দ্রোর। সামান্য ফিজিক্যাল ট্রেনিং করালেন মাঠের একেবারে ওপারে। যাতে মিডিয়ার চোখ বা লেন্সের দৃষ্টি পুরোপুরি সেখানে না যায়।
ইস্ট বেঙ্গল প্র্যাকটিসে ‘লুকোচুরি’ খেলা চললেও সবটাই এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। এদিন সাইয়ের নিরাপত্তারক্ষীরাও বলছিলেন, এই দলটাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনও ফুটবলার নেই। অর্থাৎ ‘যথার্থ’ লিডারের অভাব। আর যার উপর সদস্য-সমর্থকরা কিছুটা ভরসা করছেন সেই হাইমে স্যান্টোস কোলাডো একেবারেই অফ ফর্মে। এদিন প্র্যাকটিস শেষে গাড়িতে ওঠার সময় স্প্যানিশ উইং হাফ বললেন, ‘ডার্বিতে কেউই ফেভারিট নয়। তবে আমরা জিতব।’
রবিবারের ডার্বিতে প্রথম একাদশে বড় পরিবর্তন করতে রাজি নন আলেজান্দ্রো। রক্ষণাত্মক সংগঠনে বেশি জোর দিলেন। যেখানে স্ট্রাইকার মার্কোসও নীচে বল কাড়তে নেমে এলেন। যেমন বিপক্ষ বক্সে হেড করতে উঠলেন স্টপার মার্তি ক্রেসপি। গোলে রালতে। দুই স্টপার মার্তি ক্রেসপি ও মেহতাব সিং। সাইড ব্যাকে কমলপ্রীত সিং ও অভিষেক আম্বেকর। দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার কাসিম আইদারা ও লালরিনডিকা রালতে। রাইট ও লেফট উইং হাফে শুরু করবেন পিন্টু মাহাতা ও হুয়ান মেরা। আপফ্রন্টে কোলাডো ও মার্কোস। প্র্যাকটিসের আগে বহু সময় ভিডিও সেশনে জোর দিয়েছেন আলেজান্দ্রো।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচ শুরু বিকেল পাঁচটায়। ডি স্পোর্টস ও কলকাতা টিভি’তে খেলা সরাসরি দেখা যাবে।