ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
গত ম্যাচে ব্যাট করার সময় প্যাট কামিন্সের বাউন্সারে পাঁজরে আঘাত পান শিখর ধাওয়ান। প্রাথমিক শুশ্রুষার পর ব্যাটিং চালিয়ে গেলেও ফিল্ডিং করতে নামেননি তিনি। তাঁর পরিবর্তে ফিল্ডিং করেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ঝটকার এখানেই শেষ নয়। ফিল্ডিং করার সময় ম্যাচের একেবারে শেষদিকে চোট পান সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। ডিপ স্কোয়ার লেগে একটি বাউন্ডারি বাঁচানোর জন্য ডাইভ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বেকায়দায় বাঁদিকের কাঁধে জোরালো আঘাত লাগে রোহিতের। দলের দুই ডাকাবুকো ওপেনারের চোটের পরিস্থিতি নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, ম্যাচের আগে অবস্থা বুঝেই ব্যববস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে দল। অধিনায়ক বিরাট কোহলি অবশ্য তাঁদের নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। শুক্রবার ম্যাচ শেষেই তিনি জানিয়ে ছিলেন, রোহিত ও শিখরের চোট খুব একটা গুরুতর নয় বলেই আপাতদৃষ্টিতে তাঁর মনে হয়েছে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি রোহিত-ধাওয়ান জুটি খেলতে না পারেন, সেক্ষেত্রে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হবে কোহলি ব্রিগেডকে। সেক্ষেত্রে লোকেশ রাহুলের ওপেনিং পার্টনার কে হবেন, তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। পাশাপাশি রাহুল ব্যাটিং অর্ডারের উপরে উঠে গেলে মিডল অর্ডারের পুরানো রোগও ফিরে আসার চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। তবে এটাই আশার কথা যে, এই মুহূর্তে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন দক্ষিণী ব্যাটসম্যানটি। প্রথম ম্যাচে ঋষভ পন্থ আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার পর, কিপিং গ্লাভস হাতেও উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে হয় রাহুলকে। দ্বিতীয় ম্যাচেও কিপিং করেন তিনিই। আর সেই ভূমিকাতেও যথেষ্ট সফল রাহুল। ফলে রবিবারও তাঁকে সামলাতে হবে উইকেটরক্ষার বাড়তি দায়িত্ব।
প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও রাজকোটে বড় রানের ইনিংস খেলেছেন বিরাট কোহলি। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপটা নির্ণায়ক ম্যাচেই মিটিয়ে ফেলতে চাইবেন ভারত অধিনায়ক। একই কথা প্রযোজ্য রাহুলের ক্ষেত্রেও। তবে শ্রেয়াস আয়ারের অফ-ফর্ম নিয়ে চিন্তা রয়েছে। গত কয়েকটি ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ তিনি। রোহিত-ধাওয়ান যদি না খেলতে পারেন তাহলে তাঁর উপর দায়িত্ব আরও বাড়বে। সঙ্গে বাড়বে চাপের বোঝাও।
তবে একাধিক দুশ্চিন্তার মাঝেও ভারতীয় দলের উদ্দীপনায় বাড়তি মাত্রা জোগাচ্ছে রাজকোটের দুরন্ত জয়। পিছিয়ে পড়েও সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনার পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আগের ম্যাচের সেরা লোকেশ রাহুল। তাঁর কথায়, ‘চাপের মুখে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তা আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। দলগত পারফরম্যান্সে সিরিজে সমতা ফেরাতে সক্ষম হয়েছি। সেই সঙ্গে বেড়ে গিয়েছে মনোবল। আর তা কাজে লাগিয়ে সিরিজ জয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছে পুরো দল। এই ম্যাচেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা।’
গত বছর ঘরের মাঠে প্রথম দু’টি ম্যাচে জিতেও অজিদের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে সিরিজ খোয়াতে হয়েছিল ভারতকে। দলের দুই তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে ছাড়াই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার সেই হতাশা থেকে সমর্থকদের মুক্ত করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার সামনে।
খেলা শুরু দুপুর দেড়টায়।