ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
রবিবার প্রিয় দলের জয় দেখতেই মাঠ ভরাবেন সমর্থকরা। কোচ বা ফুটবলাররা নন, আবেগের ডার্বির মূলধন তাঁরাই। দুই দলের কোচ স্প্যানিশ। বিদেশিদের সিংহভাগই ‘এল ক্লাসিকোর’র দেশের। তবু দুই প্রধানে এখন এমন কেউ তারকা নেই, যিনি ব্যক্তিগত মুন্সিয়ানার জোরে চুম্বকের মতো মাঠে টেনে আনবেন সমর্থকদের। কিন্তু আবেগ তো কোনও যুক্তি মানে না। তার কাছে খেলার মান গৌণ। কোচের নাম কিবু ভিকুনা কিংবা আলেজান্দ্রো না হয়ে গৌরহরি বসাক বা শ্রীকান্ত চৌধুরী হলেও এই আবেগের উৎসাহে ভাঁটা পড়ত না। সকলেই জানেন, টানা পাঁচ-ছ’টি পাস দেখা যাবে না। দুরন্ত মুভ কিংবা অনবদ্য রক্ষণ সংগঠনের আশা না করাই ভালো। দুই কোচের হাতেই দক্ষ স্ট্রাইকার নেই। তবে তারকা হওয়ার মশলা মজুদ রয়েছে বাগানের বেইতিয়া-মুনোজ এবং ইস্ট বেঙ্গলের কোলাডো-মেরার মধ্যে। যদিও তাঁদের পারফরম্যান্স বছরের পর বছর মনে রাখার কথা নয়। কিন্তু দশকের পর দশক ধরে এই ডার্বি তার ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে চলেছে। কারণ, তার কুশীলব তো সমর্থকরাই। সাম্প্রতিক অতীতে দুই প্রধান ডার্বির শেষ মহড়া সারত নিজেদের মাঠে। এখন বিভিন্ন কারণে তা আর হয় না। যুবভারতীর অনুশীলন মাঠে মোহন বাগানের প্র্যাকটিসে তবু অবারিত দ্বার, কিন্তু সাইয়ে ইস্ট বেঙ্গল অনুশীলন শুরুর মিনিট ১৫ পরেই দরওয়াজা বন্ধ। তাই প্রিয় ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে অনুরাগীরা আর তেমন ভিড় করেন না। বরং যাবতীয় উদ্যম জমিয়ে রাখেন ম্যাচের দিনের জন্য। রবিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ইএম বাইপাস সহ শহর ও শহরতলির বিভিন্ন রাজপথ তার সাক্ষী থাকতে তৈরি। ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে থেকে মর্যাদার বড় ম্যাচে নামছে মোহন বাগান। এক ম্যাচ কম খেলে ইস্ট বেঙ্গলের ঝুলিতে ৮ পয়েন্ট। তারা ষষ্ঠ স্থানে। বহুদিন পরে ডার্বির আগে লাল-হলুদ জনতার কণ্ঠে সেই ‘মাইরা ফেলুম, কাইটা ফেলুম’ ধ্বনি নেই। কেমন যেন ম্রিয়মাণ তাঁরা। আসলে চার্চিলের কাছে ০-১ এবং গোকুলামের কাছে ১-৩ গোলে হারের ধাক্কা তাঁরা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। অন্যদিকে এটিকে’র কাছে ৮০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করার ক্ষোভ কমানোর জন্য ডার্বিতে মোহন বাগানের জয় চাইছেন সবুজ-মেরুন অনুরাগীরা। টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ফলে দলের প্রতি বিশ্বাস বেড়েছে তাঁদের। তবে অঘটনের সাক্ষী বহু বড় ম্যাচ। এটা ভুলে গেলে চলবে না।