বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছোটবেলা থেকে ফুটবল খেলি। সেই থেকেই এই খেলার প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। সেন্ট লরেন্স হাইস্কুলের ছাত্র ছিলাম। স্কুল টিমের হয়ে খেলার সময় একবার পা’ও ভেঙেছিল। দু’বার অস্ত্রোপচারও করতে হয়। তখনই ফুটবল খেলায় পূর্ণচ্ছেদ। সেই আপশোস এখনও রয়েছে। মাঠে গিয়ে খেলা দেখলে সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়ে। স্বদেশি প্লেয়ারের মধ্যে গৌতম সরকার, সুরজিৎ সেনগুপ্ত, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য, বাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রীর খেলা ভালো লাগে। আর বিদেশিদের মধ্যে অবশ্যই সেরা মজিদ বাসকর। মজিদের পরে চিমা ওকেরির খেলাও ভালো লাগত। কী সুন্দর চেহারা। পাওয়ারফুল শট। তিনকাঠি ভালো চিনত কালো চিতা। ইডেন গার্ডেন্সের পাশাপাশি সল্টলেক স্টেডিয়ামেও ডার্বি দেখেছি। সেবারও মোহনবাগান দু’গোলে জিতেছিল। ইস্ট বেঙ্গলী বন্ধুরা মজা করে বলেছিল, তুই আর মাঠে যাস না। কাজের চাপে রবিবার হয়তো মাঠে যেতে পারব না। কিন্তু খোঁজ তো অবশ্যই রাখব।
ছাত্রাবস্থায় কলেজে পালিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছি। এমনকী মাঠে যাওয়ার জন্য ফাঁকি দিয়েছি টিউশনও। এখনও রাত জেগে আমি ইউরোপিয়ান ফুটবল দেখি। মন ভালো করে দেওয়া পারফরম্যান্স। লায়োনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, দু’জনই এখন বিশ্ব ফুটবল কাঁপাচ্ছে। আমাদের দেশ কবে যে ওরকম খেলবে? হতাশার মধ্যেই আশায় বুক বাঁধি। মনে হয়, ভারতীয় ফুটবলকে পথ দেখাবে বাংলাই। আমাদের সেরা খেলা ফুটবল। আমি চাই. ডার্বির উত্তেজনা মানুষকে আনন্দ দিক। তবে সেই জয়ের আনন্দ বা হারের দুঃখ মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক। আবার বলছি, যে দল ভালো খেলে আমি তারই সমর্থক। তা ইস্টবেঙ্গল হোক, মোহনবাগান হোক বা মহমেডান স্পোর্টিং। ফুটবলকে ঘিরেই আমাদের অন্তরের ভালোবাসা। তাকে ঘিরে যেন হৃদয়ের বন্ধন নষ্ট না হয়। ফুটবল মাঠ হয়ে উঠুক মিলনের মঞ্চ। খেলুক বাঙালির হৃদয়ে থাকা দুই দল, জয়ী হোক ফুটবল। মাঠের মধ্যেই শতফুল বিকশিত হোক।
অনুলিখন: সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়