বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দলের সঙ্গে ডিকা শ্রীনগরে গিয়েছিলেন। তিনদিন আগে দল ফিরেছে চণ্ডীগড়ে। লুধিয়ানায় হোম ম্যাচ খেললেও পাঞ্জাব এফসি’র হেড কোয়ার্টার এখন চণ্ডীগড়। দলের খেলোয়াড়রা সেখানেই থাকেন। দলের ছয় বিদেশি শহরের ১৬ নম্বর সেক্টরে একটি আবাসনে থাকেন। শ্রীনগর থেকে ফেরার পর ডিপান্ডা ডিকাকে প্রচণ্ড বিমর্ষ দেখায়। দলের অপর বিদেশি নেপালের গোলরক্ষক চেম জং, ব্রাজিলের জুনিয়র ও দানিলো, লাইবেরিয়ান স্টপার ডেনিসের কাছে মাতৃবিয়োগের ব্যথায় কান্নাকাটিও করেন তিনি। শ্রীনগরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় ডিকার পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। ডিকার মায়ের মৃতদেহ তাই সংরক্ষণ করে রাখা হয় বেশ কয়েকদিন। গত চারদিন ধরে পাঞ্জাব এফসি’র অন্যতম মালিক রঞ্জিত বাজাজ,কোচ ইয়ান ল’র সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিপান্ডাকে দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কোচ ও শীর্ষকতাটিও তাঁকে দেশে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু দলের স্বার্থে দেশে ফেরেননি তিনি। নিয়েছেন মোহন বাগান ম্যাচ খেলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি। গত কয়েকদিন কোচ-কর্তাদের বারবার তিনি বলেছেন,‘মোহন বাগান ম্যাচ না খেলে আমি দেশে ফিরব না। দু’বছর ওদের আমি দারুণ সার্ভিস দিয়েছি। তা সত্ত্বেও ভালো ব্যবহার পাইনি। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে কলকাতার বড় ক্লাবটিকে হারাতে পারলে আমার মায়ের আত্মা শান্তি পাবে।’ এদিন ডিকা জানান,‘এই ম্যাচটি আমার কাছে স্পেশাল। কারণ, আমার জন্য ছ’দিন অপেক্ষা করার পর সোমবার মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে পরিবার। মঙ্গলবার গোল করে মাকে উৎসর্গ করতে চাই।’ উল্লেখ্য, কোচের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, মোহন বাগানের বিরুদ্ধে ডিকাকে পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার রাতে পাঞ্জাব এফসি’র কর্তা রঞ্জিত বাজাজ জানান,‘এখন বৃষ্টি থেমেছে। মঙ্গলবার হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। মঙ্গলবার যদি বারোটা থেকে চারটের মধ্যে বৃষ্টিপাত হয় তবে ম্যাচ ভেস্তেও যেতে পারে।’