পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার সন্ধ্যায় নিউটাউনের হোটেলের ক্যাফেটরিয়ায় বসে ভারেলা একান্তে বলছিলেন, ‘ইস্ট বেঙ্গল রক্ষণে দুর্বলতা রয়েছে। আমার শক্তি আপফ্রন্টের জোড়া ফলা হেনরি কিসেকা ও মার্কাস জোসেফ।’ ইস্ট বেঙ্গলের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মার্কোস ও গেম মেকার হাইমে স্যান্টোস কোলাডোকে সমীহ করছেন ভারেলা। কারণ, কার্ড সমস্যার জন্য ইস্ট বেঙ্গল ম্যাচে নেই তাঁর দলের নির্ভরযোগ্য দুই ডিফেন্ডার জোহিব ইসলাম আমিরি, মহম্মদ ইরশাদ ও গোলরক্ষক ভিকি। প্রতিপক্ষের জোড়া ফলাকে সামলাতে স্টপার মার্তি ক্রেসপির দিকে তাকিয়ে রয়েছে ইস্ট বেঙ্গল। স্প্যানিশ স্টপার বললেন, ‘চার্চিলের বিরুদ্ধে আমাদের হার প্রাপ্য ছিল না। তবুও অতীত মনে রাখছি না। বন্ধু বোরহার অনুপস্থিতিতে নিজের দায়িত্ব সামলাতে আমি প্রস্তুত।’
কার্ড সমস্যায় কাঁপছে ইস্ট বেঙ্গল শিবিরও। ইতিমধ্যেই তিনটি করে কার্ড দেখেছেন স্টপার মার্তি ক্রেসপি ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার কাসিম আইদারা। গোকুলাম ম্যাচে এদের কেউ কার্ড দেখলেই ডার্বিতে খেলতে পারবেন না। এই প্রসঙ্গে আলেজান্দ্রো বলছেন, ‘কার্ড সমস্যা থাকবেই। তবে তা ম্যানেজ করতে হবে। ডার্বি নিয়ে এখনই ভাবছি না। গোকুলামের বিরুদ্ধে আমাদের খুবই কঠিন লড়াই। তবে তিন পয়েন্ট পাওয়াই একমাত্র লক্ষ্য। এটা আমাদের কাছে কখনই ডার্বির আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচ নয়।’
ইস্ট বেঙ্গল কোচের চিন্তা, প্রতি ম্যাচেই গোলের সুযোগ নষ্ট করছেন তাঁর ফুটবলাররা। এর সমাধান কী, তা খোঁজার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের সমস্যা নয়। টটেনহ্যাম ও লিভারপুল ম্যাচ দেখুন। টটেনহ্যাম অনেক সুযোগ তৈরি করলেও লিভারপুল ম্যাচ জিতে নিয়েছে।’ বিপক্ষের দুই বিপজ্জনক স্ট্রাইকারের কথা মাথায় রেখেই ডিফেন্ডারদের সতর্ক করেছেন আলেজান্দ্রো।
গোকুলামের সেরা তাস ত্রিনিদাদ-টোবাগোর স্ট্রাইকার মার্কাস জোসেফ হঠাৎ ফর্ম হারিয়েছেন। মোহন বাগানের স্টপার ড্যানিয়েল সাইরাসের ভালো বন্ধু মার্কাস। একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলেছেন। মার্কাস বললেন, ‘ফুটবলারদের জীবনে এমন সময়ই আসে। যখন কোনও কিছুই ঠিকঠাক হয় না। আশা করছি, দ্রুত ছন্দে ফিরব।’ ইস্ট বেঙ্গলের স্ট্রাইকার মার্কোসের সঙ্গে তিন গোল করে একই জায়গায় অবস্থান করছেন গোকুলামের মার্কাস। লাল-হলুদের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মার্কোসকে জোনাল মার্কিংয়ে রাখতে চান গোকুলাম কোচ। বলছিলেন, ‘ওদের কোলাডো ও মার্কোস দারুণভাবে ফাঁকা জায়গা তৈরি করে কাজে লাগাতে পারে। আর হুয়ান মেরা উইং হাফে খুবই কার্যকরী ফুটবলার। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’ তাঁরও লক্ষ্য অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলের থেকে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়া।
গোকুলাম ম্যাচে ফোকাস করলেও লাল-হলুদ শিবিরের মন পড়ে রয়েছে স্পেনে। যেখানে বোরহা গোমেজের খুদে সন্তানের মাথায় প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। গোকুলামের বিরুদ্ধে জয়ের পাশাপাশি বোরহার সন্তানের আরোগ্য প্রার্থনা করছেন আলেজান্দ্রো। তাঁর স্বস্তি বাড়িয়েছে হায়দরাবাদ এফসি থেকে সদ্য আসা সাইড ব্যাক আভাস থাপা। লাল-হলুদ কোচ বললেন, ‘ও খুবই প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলার। লেফট ব্যাকের পাশাপাশি লেফট উইং হাফেও খেলতে পারে। ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।’ গোকুলামের বিরুদ্ধে আভাসকে স্কোয়াডে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন আলেজান্দ্রো।