বায়ার্ন-৩                                        টটেনহ্যাম-১
(কোম্যান, মুলার, কুটিনহো)                  (সেসেগনন)
মিউনিখ, ১২ ডিসেম্বর: দুরন্ত ছন্দে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের গণ্ডি পেরল বায়ার্ন মিউনিখ। বুধবার ঘরের মাঠ অ্যালায়েঞ্জ এরিনায় তারা সহজ জয় তুলে নিল টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে। গ্রুপের প্রতিটি ম্যাচ জিতে ১৮ পয়েন্টে শেষ করল জার্মান সুপার পাওয়ারটি। হারলেও অবশ্য গ্রুপ-বি’র দ্বিতীয় স্থানে থেকে নক-আউটে পৌঁছেছে টটেনহ্যাম। তবে এটা অবশ্যই প্রমাণিত যে, মরিসিও পোচেত্তিনোর পর দায়িত্ব নিয়ে রক্ষণের রোগ সারাতে পারেননি হোসে মরিনহো। প্রিমিয়ার লিগে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরেছিল তাঁর দল। বুধবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। তা সত্ত্বেও ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’ বলেছেন, ‘রাউন্ড অব সিক্সটিনে ওঠা বাকি দলগুলি টটেনহ্যামকে এড়াতে চাইবে।’
ঘরের মাঠে স্পারের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় বায়ার্ন মিউনিখ। পেরিসিচ-কোম্যান-কুটিনহোদের অনবদ্য বোঝাপড়া বারবার আঘাত হানতে থাকে বিপক্ষ বক্সে। ১৪ মিনিটে দলকে কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন কোম্যান। বক্সের বাঁ দিক থেকে ডান পায়ের কোনাকুনি নেওয়া তাঁর শট রুখতে ব্যর্থ হন টটেনহ্যাম গোলরক্ষক পাওলো গাজানিগা (১-০)। তবে বায়ার্নের এই লিড দীর্ঘায়িত হয়নি। ২০ মিনিটে মরিনহো-ব্রিগেডকে সমতায় ফেরান সেসেগনন (১-১)। সেই মুহূর্তে স্পার কোচের অঙ্গভঙ্গি ছিল যথেষ্ট ইতিবাচক। কিন্তু বায়ার্নের পরিকল্পিত ফুটবল মরিনহোর আশায় জল ঢেলে দেয়। মাঝমাঠে আধিপত্য বজায় রেখে প্রেসিং ফুটবল মেলে ধরে টটেনহ্যামকে ক্রমশই কোণঠাসা করে জার্মান ক্লাবটি। ৩৮ মিনিটে গাবরির প্রয়াস পোস্টে প্রতিহত হয়। বিরতির অব্যবহিত আগে অবশ্য দ্বিতীয় গোল তুলে নেয় বায়ার্ন। কুটিনহোর প্রয়াস বিপক্ষ গোলরক্ষক আংশিক প্রতিহত করলে ফিরতি বল জালে জড়াতে ভুল হয়নি সুযোগসন্ধানী টমাস মুলারের (২-১)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে বিপক্ষকে চাপে ফেলেন ফেলিপে কুটিনহো। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল প্রশংসা কুড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। ৬৪ মিনিটে ডেভিসের পাস ধরে অনবদ্য গোল করে ব্রাজিলিয়ান তারকাটি বুঝিয়ে দেন, তাঁকে ছেড়ে বার্সেলোনা ভুল করেছে (৩-১)। এরপর পরিবর্ত হিসেবে সন হিউং মিন ও স্কিপকে নামিয়ে ম্যাচের গতি বদলানো ছিল টটেনহ্যাম কোচ মরিনহোর লক্ষ্য। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। শেষপর্বে নাবরি সহজ সুযোগ না হারালে বায়ার্ন ব্যবধান বাড়াতেই পারত।
বুধবার গ্যাব্রিয়েল হেসাসের দুরন্ত হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ৪-১ গোলে হারাল ডায়নামো জাগ্রেবকে। বিজয়ী দলের অপর গোলদাতা ফিল ফোডেন। ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে প্রতিযোগিতার নক-আউটে পৌঁছল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। গ্রুপ-সি থেকে ম্যান সিটি ছাড়াও পরবর্তী রাউন্ডে গিয়েছে আটলান্টা। শেষ ম্যাচে তারা ৩-০ গোলে হারিয়েছে শাখতার ডোনেস্ককে।