কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টে খেলার সময় শিখর ধাওয়ান যদি চোট না পেতেন, তাহলে রহিত শর্মার সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে ওপেন করার সুযোগ পেতেন না লোকেশ। তবে সুযোগের পূর্ণ সদ্বব্যবহার করেছেন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রেখেছিলেন প্রথম ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে বড় রান না পেলেও, বুধবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রহিতের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ১৩৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। যার সুবাদে ভারত প্রথম ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২৪০ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে এবং শেষ পর্যন্ত ৬৭ রানে জয়ী হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন লোকেশ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর জায়গা ছিল টলমল। কিন্তু এই সিরিজের সাফল্যের জেরে দলে জায়গা ধরে রাখতে হয়তো তাঁর সুবিধা হবে। এই প্রসঙ্গে লোকেশ বলেছেন, ‘দলে জায়গা ধরে রাখত পারব কি না, তা নিয়ে কখনওই চিন্তিত নই। তবে এটা ঠিক, দল থেকে বারবার বাদ পড়লে একজন ক্রিকেটারের খারাপ লাগে। সেটা আমার কাছে ব্যতিক্রম নয়। সবার বোঝা দরকার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ অনেক বেশি। তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে। সব ক্রিকেটারকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া দরকার। মনে হল, ব্যাট হাতে নামলাম আর রান করে চলে এলাম। ব্যাপারটা এত সহজ নয়। প্রতিপক্ষ দল এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না। সেটাই প্রত্যাশিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। বিপক্ষ দলের শক্তি আলাদা আলাদা। ভেন্যু ও পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ থাকে। তা কাটিয়ে উঠতে পারলে সাফল্য পেতে সমস্যা হয় না। আমি যখন এই সিরিজে খেলার সুযোগ পাই, তখন ঠিক করে নিয়েছিলাম খোলা মনে ব্যাট করব। দলকে জেতানোই হবে আমার একমাত্র লক্ষ্য। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি। আরও বেশি আনন্দ পেয়েছি দল সিরিজ জেতায়। ব্যক্তিগতভাবে আমি তৃপ্ত এই কারণে যে, ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট খেলতে পেরে। এর ফলে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে।’
দল থেকে বাদ পড়ার পর কতটা খারাপ লেগেছিল? জবাবে লোকেশ বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমি কখনও চিন্তাভাবনা করি না। কঠোর অনুশীলনে বিশ্বাস করি। বাদ পড়ার পর আমি যখন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছি, তখনও একই ফর্মুলা প্রয়োগ করেছি। স্কিল বাড়ানোর পাশাপাশি শট চয়নের দিকেও বাড়তি জোর দিয়েছিলাম। তার সুফল মিলেছে এই সিরিজে। তবে মুখে বলা যতটা সহজ, কাজে করা তা অবশ্যই কঠিন।’
চোটের কারণে দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের বাইরে হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তিনি ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন। ম্যাচ শেষে লোকেশ রাহুলের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে হার্দিক বলেন, ‘তোমাদের ব্যাটিং দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল ব্যাট হাতে নেমে পড়ি।’ জবাবে লোকেশ বলেন, ‘আমরা তোমার ফেরার অপেক্ষায় রয়েছি। তোমাকে ছাড়া ড্রেসিং-রুম বড় ফাঁকা লাগছে। বিশেষ করে আমার।’ উল্লেখ্য, এই হার্দিকের সঙ্গেই একটি টিভি শোয়ে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন লোকেশ। মহিলাদের সম্পর্কে কুমন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড হতে হয়েছিল দু’জনকেই।