কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সুতপা খেলাধুলোর পাশাপাশি পড়াশোনাতেও পারদর্শী। মাস দু’য়েক আগে সে রাজ্য স্কুল গেমস তিনটি পদক জয় করে চমক দিয়েছে। দিন কয়েক আগে ফের রিলায়েন্স বেঙ্গল মিটে ৮০০ মিটারে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এবার রাজ্যের হয়ে পাঞ্জাবের জাতীয় স্কুল গেমসে অংশগ্রহণ করার সুযোগ মিলেছে। তারজন্য পাঞ্জাবে জাতীয় স্কুল গেমসে অংশ নিতে গিয়েছে সুতপা। তাকে নিয়ে গর্বিত এলাকার বাসিন্দারা।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ৬৫তম রাজ্য স্কুল গেমসের আসর বসে। সেখানে লাকুরিয়া হাইস্কুলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন সুতপা। অনূর্ধ্ব ১৯ ব্যক্তিগত বিভাগ ৮০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় এবং ১৫০০ মিটার দৌড়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। রিলে দৌড়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। সুতপার সাফল্যে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। তার বাবা সাধন মণ্ডল বলেন, অভাবের সংসারে নিজে পরের জমিতে খেটে কোনওরকমে মেয়েকে লেখাপড়া করাচ্ছি। তবে মেয়ে খেলাধুলোয় খুব ভালো। আগে অনেকবার পদক পেয়েছে। আমি চাই, সুতপা অলিম্পিকে খেলুক। তারজন্য ভালো কোচিং ও বিভিন্ন সরঞ্জামের দরকার হয়। আমার পক্ষে সেই খরচা বহন করা সম্ভব নয়। তাই কোনওরকম সরকারি আর্থিক সহায়তা পেলে খুব ভালো হয়। তাছাড়া, খেলাধুলোর পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় সুতপা। সুতপা বলে, আগামী দিনে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে প্রাথমিক লক্ষ্য, জাতীয় গেমসে সুযোগ করে নেওয়া। স্কুলের শিক্ষক থেকে আমার কোচ আতাউর রহমান সাহায্য করেছেন।
আতাউর রহমান বলেন, সুতপা পাঞ্জাব যাচ্ছে জাতীয় স্কুল গেমসে খেলতে যাচ্ছে। তারজন্য আমি খুশি। ওখানে ৮০০ মিটার দৌড়ে সে অংশগ্রহণ করবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আগামীদিনে ভালো সুযোগ সুবিধা পেলে ও আরও ভালো ফল করবে। তবে জাতীয় স্তরে সফল হতে গেলে আধুনিক জিম, পর্যাপ্ত খাবার, জুতো অনেক কিছু প্রয়োজন।
লাকুরিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু বক্কর বলেন, সুতপার ভালো খেলছে, এটা আমাদের কাছে খুব গর্বের বিষয়। সুতপাদের পরিবারে আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমরা সবরকমের সহযোগিতা চেষ্টা করি এবং ভবিষ্যতে করার চেষ্টা করব। সুতপার এই সফলতায় এলাকার ছেলে মেয়েরা আরও অনুপ্রাণিত হবে। আমরা চাই, আগামী দিনে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করুক।