বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সাইরাসের মন্তব্য শুনে হাসছিলেন মোহন বাগানের স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড সালভা চামোরো। তিনি বললেন, ‘আমরা গোল করব, আর ডিফেন্ডাররা গোল খাওয়াবে! এ হতে পারে না। চার্চিলের বিরুদ্ধে দল দু’গোল দিয়েছে। আর ডিফেন্স হজম করল চার গোল। এভাবে চললে দল জিতবে কী করে?’ কিন্তু আপনি তো স্ট্রাইকার হিসেবে সমর্থকদের প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না। এ ব্যাপারে কী বললেন? সালভা বিমর্ষ মুখে বললেন, ‘মনঃসংযোগের সমস্যা হচ্ছে। কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। কোচ যদি আমাকে বুধবার ম্যাচের শুরু থেকে খেলান তাহলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’ তবে স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের প্রতি মোহন বাগান কর্তাদের মোহভঙ্গ ঘটেছে। শোনা যাচ্ছে, আগামী ট্রান্সফার উইন্ডোয় ছেড়ে দেওয়া হবে সালভাকে।
আই লিগে ইস্ট বেঙ্গলের জয়ের দিনে মোহন বাগান শিবিরকে বেশ ম্রিয়মাণ মনে হয়েছে। জয়ের তাগিদটাই যেন নেই। ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও প্রাক্তন তারকা সত্যজিৎ চ্যাটার্জি দলের দুই গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার ও শঙ্কর রায়কে ডেকে উজ্জীবিত করলেন। এদিন আক্রমণ ও রক্ষণ সংগঠনেই মূলত জোর দিয়েছেন কোচ ভিকুনা। দু’থেকে উড়ে আসা বল বা ডাউন দ্য মিডল আক্রমণে তৈরি হওয়া পাসগুলো মোহন বাগান ডিফেন্ডাররা সামলাতে পারছেন না। তাদের স্ট্রাইকাররা এই ধরনের মুভ থেকে তৈরি হওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। অনুশীলনের শেষে দফায় দফায় বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা করলেন ভিকুনা। আসলে ট্রাউ ম্যাচ হারলেই কোচ ভিকুনা গলা পর্যন্ত চাপে পড়ে যাবে। তবে ভিকুনা ব্যর্থ হলে নতুন কোচের দ্রুত মানিয়ে নেওয়াটাও ফ্যাক্টর। কারণ ২২ ডিসেম্বর ডার্বি। শোনা যাচ্ছে, নতুন স্পনসর দ্রুত চূড়ান্ত হলে স্প্যানিশ কোচের চাকরি যেতে পারে। কারণ, এছাড়া ভিকুনার ক্ষতিপূরণের অর্থ জোগাড় করা কঠিন সবুজ-মেরুন কর্তাদের পক্ষে।
ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে গোলরক্ষক হিসেবে শঙ্কর রায়ের শুরু করার সম্ভাবনাই বেশি। দুই স্টপার ড্যানিয়েল সাইরাস ও ফ্রান মোরান্তে। দুই সাইড ব্যাক বদল হতে পারে। শুরু করতে পারেন চুলোভা ও ধনচন্দ্র সিং। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার পজিশনে শেখ সাহিলের পাশে ফ্রান গঞ্জালেজ মুনোজ। উইং হাফে বাঁদিকে নাওরেম, ডানদিকে রোমারিও জেসুরাজ ও হেনরি ব্রিটোর মধ্যে একজন শুরু করবেন। আপফ্রন্টে জুলেন কলিনাসের পাশে সুহের বা সালভা চামোরো খেলবেন। বুধবার সকালে কল্যাণী রওনা হচ্ছে মোহন বাগান।
ট্রাউ মঙ্গলবারই কল্যাণী পৌঁছেছে। প্রতিপক্ষের ‘বং কানেকশন’কে গুরুত্ব দিচ্ছে সবুজ-মেরুন শিবির। সাইড ব্যাক তন্ময় ঘোষ, অভিষেক দাস, মিডফিল্ডার অবিনাশ রুইদাস, দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে রয়েছেন সায়ন রায়। দলে রয়েছেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দীপক দেবরানি। ডগলাসের কোচিংয়ে ছ’জন বিদেশি নিয়েই এসেছে ট্রাউ। তারমধ্যে সেন্ট কিটসের মিডফিল্ডার উইলিয়াম জেরার্ড বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে সোমবারই দেশে ফিরে গিয়েছেন। এটা ডগলাসের দলের কাছে বড় ধাক্কা। তবে সবুজ-মেরুন একটাই স্বস্তি, মণিপুরের লিগ শুরু হয়নি বলে নেরোকা ও ট্রাউয়ের মতো ক্লাবগুলি ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না।
কল্যাণীতে ম্যাচ শুরু বিকেল ৫-০০ টায়।