গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ইস্ট বেঙ্গল -৪ ( কোলাডো-২, হুয়ান, মার্কোস)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার ইম্ফলের খুমান লাম্পাক স্টেডিয়ামে নেরোকা এফ সি’কে হারিয়ে চলতি আই লিগে প্রথম জয় পেল ইস্ট বেঙ্গল। আপাতত তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট পেয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড লিগ টেবলের তিন নম্বরে উঠে এল। এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ইস্ট বেঙ্গল দল স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। মঙ্গলবার স্থানীয় কয়েকটি সংগঠন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বনধ ডাকে। ফলে জনজীবন কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়।
প্রথম দু’টি ম্যাচ ড্র করার পর আই লিগে প্রথম জয় পেতে মরিয়া ছিল ইস্ট বেঙ্গল। তাই অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার মেলে ধরে তারা। এবার মণিপুর প্রিমিয়ার লিগ এখনও শুরু না হওয়ায় ইম্ফলের দলগুলি প্রস্তুতি সেরে নিতে ব্যর্থ। তবে তা সত্ত্বেও লাল-হলুদের পারফরম্যান্সকে খাটো করা সম্ভব নয়। মরশুমের অন্যতম সেরা ম্যাচ খেলে জয়ের সরণীতে ফিরে আত্মবিশ্বাস অবশ্যই বাড়ল কাসিম আইদারা-কোলাডোদের। আগামী ১৪ ডিসেম্বর কল্যাণীতে ট্রাউ এফসি এবং ২২ ডিসেম্বর যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহন বাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে যা অবশ্যই কাজে লাগবে। মেহতাবের চিকেন পক্স এবং নাওরেমের চোটের জন্য এদিন প্রথম একাদশে একাধিক পরিবর্তন করেন কোচ আলেজান্দ্রো। স্টপারে মেহতাবের জায়গায় খেলানো হয় আসির আখতারকে। সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তরুণ স্টপারটি। পাশাপাশি নাওরেমের জায়গায় কমলপ্রীত সিংকে ডিফেন্সিভ ব্লকারের ভূমিকায় ব্যবহার করায় ইস্ট বেঙ্গলের মাঝমাঠ যথেষ্ট সংঘবদ্ধ ছিল। রাইট ব্যাকে খেলেন সামাদ। নেরোকা দলের দুই স্টপারই বিদেশি। তাঁরা হলেন ওসমান এবং স্যামসন। গোলরক্ষক ত্রিনিদাদ-টোবাগোর মার্ভিন ফিলিপস। কিন্তু মাঝমাঠে বিদেশি না থাকায় ইস্ট বেঙ্গল বাড়তি সুবিধা পায়। কাসিম আইদারা, কোলাডো ও হুয়ান মেরার মধ্যে বোঝাপড়ায় খামতি ছিল না। তাঁদের যোগ্য সঙ্গত করেন পিন্টু মাহাতা। আপফন্টে মার্কোস অনেক বেশি সপ্রতিভ ছিলেন। প্রথম দশ মিনিট দুই দলই একে অপরকে পরখ করে নেওয়ার চেষ্টায় ছিল। তারপর খেলা গড়ানোর সঙ্গেসঙ্গে আধিপত্য বাড়ে আলেজান্দ্রো-ব্রিগেডের। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে হুয়ান মেরার ভাসানো সেন্টারে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন অরক্ষিত মার্কোস। এরপর পিন্টুর হেড রুখে দেন নেরোকা গোলরক্ষক। ইস্ট বেঙ্গল কাঙ্ক্ষিত লিড নেয় ২০ মিনিটে। বক্সের মধ্যে কোলাডোকে ফাউল করেন বিপক্ষের রোনাল্ড সিং। রেফারি সঙ্গত কারণেই পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পটকিক থেকে জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি কোলাডোর (১-০)। তবে এই ব্যবধান দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৩১ মিনিটে চানসোর সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে নেরোকাকে সমতায় ফেরান ডিয়ারা (১-১)। কিন্তু এই গোল ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলারদের হতোদ্যম করতে পারেনি। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই বক্সের সামান্য বাইরে পাওয়া ফ্রি-কিক কাজে লাগিয়ে দলের দ্বিতীয় গোল হুয়ান মেরার (২-১)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বক্সের মধ্যে অহেতুক হ্যান্ডবল করেছিলেন নেরোকার স্টপার স্যামসন। এবারও পেনাল্টি কাজে লাগাতে ভুল হয়নি কোলাডোর (৩-১)। ৬৪ মিনিটে মার্কোসের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাকহিল থেকে নেওয়া তাঁর শট ক্রসপিসে প্রতিহত হয়। এদিন ইস্ট বেঙ্গলের চারটি গোলের মধ্যে তিনটিই সেট পিস মুভ থেকে। আলেজান্দ্রো সেট পিস অনুশীলনে বিশেষ গুরুত্ব দেন। যার সুফল ইম্ফলে পাওয়া গেল। ৬৫ মিনিটে পিন্টুর সেন্টারের ফ্লাইট মিস করেন বিপক্ষ গোলরক্ষক। ড্রপ হেডে নেরোকার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন মার্কোস (৪-১)।