পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইপিএলে এখনো অর্ধেকেরও বেশি পথ বাকি। খেতাব ধরে রাখার দৌড়ে এরই মধ্যে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটি। যেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লিগ জয়ের নজির নেই। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে তাদের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা লেস্টার সিটির চেয়েও ৩ পয়েন্টে পিছিয়ে টেবলের তিন নম্বরে রয়েছে গুয়ার্দিওলার দল। গত মরশুমে ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জিতেছিল সিটি। এবার তা স্পর্শ করতে হলে লিগের বাকি ২২ ম্যাচেই জিততে হবে তাদের। ম্যাচ শেষে গুয়ার্দিওলার অকপট স্বীকারোক্তি, ‘লিভারপুলকে ধরার চিন্তা করাটা বাস্তবসম্মত নয়। অবশ্যই এটা এখন খুব কঠিন এক লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬ ম্যাচের মধ্যে ১৫টি ম্যাচেই জিতেছে লিভারপুল। তারা দারুণ ছন্দে রয়েছে। অন্যদিকে, আমরা প্রায়শই পয়েন্ট হারিয়ে চলেছি। তবে পেশাদারি ফুটবলে হাল ছেড়ে দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। তাই পয়েন্ট তালিকা দিকে আর তাকিয়ে লাভ নেই। এখন আমাদের যা করতে হবে, তা হল স্রেফ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। আরও ভালো ফুটবল খেলার জন্য যা করনীয় তা নিয়েই চিন্তাভাবনা করতে হবে।’
অন্যদিকে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে মর্যাদার লড়াই জিতে উঠে দারুণ খুশি ম্যান ইউ কোচ ওলে গুনার সোলসজায়ের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ জয়। ম্যাচে পূর্ণ কর্তৃত্ব দেখিয়েই সাফল্য পেয়েছি আমরা। দলের প্রত্যেক ফুটবলার নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছে। প্রথম আধ ঘণ্টার মধ্যে দু’গোল করে ম্যাচের রাশ আমাদের হাতে এনে দিয়েছিল মার্কাস র্যাশফোর্ড ও অ্যান্টনি মার্শাল। ওদের পারফরম্যান্সের আলাদা করে প্রশংসা করতেই হবে।’
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেও বার বার আটকে যাচ্ছিল ম্যান সিটি। প্রতিপক্ষের সেই ছন্দহীনতা কাজে লাগিয়ে ২৩ মিনিটে গোলের দরজা খুলে ফেলে ম্যান ইউ। বক্সের মধ্যে মার্কাস র্যাশফোর্ডকে ফাউল করেন বার্নার্ডো সিলভা। ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিখুঁত স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন র্যাশফোর্ড (১-০)। এর ছয় মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে যায় কোচ সোলসজায়েরের দল। ২৯ মিনিটে ফরাসি ফরোয়ার্ড মার্শালের জোরালো শট পোস্টের ভিতরের কানায় লেগে ম্যান সিটির জালে জড়িয়ে যায় (২-০)। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ম্যান সিটি। কিন্তু প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ নষ্ট করে তারা। শেষ পর্যন্ত ৮৫ মিনিটে নিকোলাস ওটামেন্ডির হেড থেকে করা গোলে (২-১) নাটকীয় পরিসমাপ্তির সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। দুই মিনিট পর দারুণ একটি সুযোগও পেয়েছিল তারা। কিন্তু রিয়াদ মাহরেজের নিচু শট দারুণ তৎপরতায় ঠেকিয়ে দিয়ে ম্যান ইউর জয় নিশ্চিত করেন গোলরক্ষক ডিভেড ডি গিয়া। এই জয়ের সুবাদে ১৬ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।