শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
কোয়েস ম্যানেজমেন্টের অপেশাদারিত্বে শনিবার ভোর চারটের সময় বাসে করে দিল্লি থেকে লুধিয়ানা পৌঁছে দুপুর দুটোয় খেলতে নামে ইস্ট বেঙ্গল। গোটা রাত প্রায় জেগে থাকার জন্য ফুটবলারদের বেশি করে প্রোটিন ও জল খাওয়ানো হয়। তাতে কী ক্লান্তির ঘাটতি মেটে? পুরো দলটাই গতি মন্থরতায় ভুগল।
তবে ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যেই ইস্ট বেঙ্গল জয়ের ভাগ্য গড়ে ফেলতে পারত। ঠিকঠাক টাইমিংয়ে বলে টাচ করতে পারলেই কেল্লা ফতে। হুয়ান মেরা, কাসিম আইদারা তা করতে পারলে লুধিয়ানায় শনিবার ভোরে পৌঁছে দুপুর দুটোয় খেলতে নামার ঘটনাও ক্লিশে হয়ে যেত।
জানুয়ারি উইন্ডোতে ইস্ট বেঙ্গলে ভালো স্ট্রাইকার না এলে এবারও কপালে দুঃখ রয়েছে আলেজান্দ্রোর দলে। ম্যাচের ১০ মিনিটে কাসিম আইদারার থ্রু থেকে সামাদ আলি মল্লিকের সেন্টার বক্সে হুয়ান মেরা পা ছোঁয়াতে পারলে গোল ছিল। একইভাবে হুয়ান মেরার কর্নার থেকে কাসিম আইদারাও বক্সে দাঁড়িয়ে বলে টাচ করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে চার্চিলের কাছে তিন গোল হজম করার জন্য এদিন গোলরক্ষকসহ রক্ষণে চার ফুটবলার পরিবর্তন করেছিলেন পাঞ্জাবের কোচ ইয়ান ল। তাতেও নড়বড় করেছে পাঞ্জাবের রক্ষণ। ইস্ট বেঙ্গল আপফ্রন্টে আরও একটু বেশি স্পার্ক থাকলে পাঞ্জাব এফসি দলের কপালে দুঃখ ছিল।
১৩ মিনিটে পাল্টা গোল করল পাঞ্জাব এফসি। একদা ইস্ট বেঙ্গলে খেলে যাওয়া সঞ্জু প্রধানের ফ্রি-কিক থেকে অনেকটা লাফিয়ে হেডে বিনা বাধায় গোল করলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ড্যানিলো (১-০)। পাশে থাকা ইস্ট বেঙ্গলের তিন ডিফেন্ডার কোনও চ্যালেঞ্জ জানালেন না! আক্রমণের পাশাপাশি রক্ষণও ভালো সামলে তিনিই ম্যাচের সেরা। এদিন ম্যাচের ৩৬ মিনিটে হুয়ান মেরা প্রতিপক্ষ বক্সে গোলমুখী শট নিতে গেলে তাঁকে দারুণ ব্লক করেন পাঞ্জাবের ডিফেন্ডার।
বিরতির পর ইস্ট বেঙ্গলের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার টনডোম্বা নাওরেম চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান। বদলে মাঠে নামেন রোহুলপুইয়া। আরও কিছু পরে অফ ফর্মে থাকা রাইট উইং হাফ পিন্টু মাহাতার জায়গায় ইস্ট বেঙ্গল কোচ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রোনাল্ডো অলিভিয়েরাকে নামান। মাঝমাঠ সংগঠিত করে আক্রমণ জোরদার করতে চেয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ। ৮২ মিনিটে লেফটব্যাক অভিষেক আম্বেকরকে তুলে উইং হাফ ব্র্যান্ডনকে নামিয়ে পাঞ্জাবের দুর্বল রক্ষণে বড় ঝটকা দিতে চেয়েছিলেন আলেজান্দ্রো। ৮৪ মিনিটে ডানদিকে নেওয়া হুয়ান মেরার শট পাঞ্জাব গোলরক্ষক কিরণ লিম্বুর ডানদিক দিয়ে সবাইকে অবাক করে জালে জড়িয়ে যায় (১-১)। তার আগে ৬৬ মিনিটে হুয়ান মেরার কর্নার ফিস্ট করে বিপদমুক্ত করেন পাঞ্জাব গোলরক্ষক। ৭০ মিনিটে সঞ্জুর সেন্টার থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ডিপান্ডা ডিকা। ম্যাচের শেষ লগ্নে ইস্ট বেঙ্গল স্ট্রাইকার মার্কোসের শট পোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
ইস্ট বেঙ্গল: রালতে, সামাদ, মার্তি ক্রেসপি, মেহতাব সিং, অভিষেক আম্বেকর (ব্র্যান্ডন), কাসিম আইদারা, নাওরেম টনডোম্বা (রোহুলপুইয়া), পিন্টু মাহাতা (রোনাল্ডো অলিভিয়েরা), হুয়ান মেরা, কোলাডো, মার্কোস।