বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হলদিয়ার আইএফএ অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা লালরিনডিকা রালতে ইস্ট বেঙ্গলের ভারতীয় ব্রিগেডের মধ্যে সবথেকে বড় নাম। যদিও হাঁটুর চোটে তিনি এই মুহূর্তে সেই ছন্দে নেই। তবে চলতি মরশুমে গোলরক্ষক জুনিয়র রালতে টেক্কা দিয়েছেন লালরিনডিকা রালতেকে। মনে হচ্ছে, দীর্ঘ চার বছর পর ইস্ট বেঙ্গলকে এবারের আই লিগে গোলরক্ষক পজিশন নিয়ে ভুগতে হবে না। কোচ আলেজান্দ্রো গত এপ্রিলে বাড়ি যাওয়ার আগেই গোলকিপার রালতেকে সই করানোর কথা বলে যান দলের সিইও’কে। ইস্ট বেঙ্গলের সিইও আলেজান্দ্রোর দেওয়া তালিকার অধিকাংশ খেলোয়াড়কে সই করাতে পারেননি। চলে গিয়েছেন জবি জাস্টিন, চুলোভা, লালডানমাওইয়ার মতো খেলোয়াড়। শেষোক্ত খেলোয়াড়টি গত মরশুমে তিনটি ডার্বিতে তিনটি গোল করেন। তবে মিডফিল্ডার রালতেকে ধরে রাখতে না পারলেও গোলরক্ষক রালতেকে এনে মুখরক্ষা করেছেন ওই সিইও।
আই লিগে বারপোস্টের তলায় ইস্ট বেঙ্গলকে নির্ভরতা দিতে তৈরি লালথুমাওইয়া রালতে। তিনি মিজোরামের কৃষক পরিবারের সন্তান। লাজং এফসি’র যুব উন্নয়ন বিভাগের প্রোডাক্ট। ২০১১ সালের মে মাস থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত তিনি ছিলেন লাজং এফসি’তে। ২০১৪ সালের জুন মাসে তিনি বেঙ্গালুরু এফসি’তে যোগ দেন। রালতে বলছিলেন,‘সেটাই একদিক থেকে আমার কাছে টার্নিং পয়েন্ট বলতে পারেন। অ্যাশলি ওয়েস্টউড আমাকে তখন গোটা বছর দারুণ সাহায্য করেছেন। ২০১৪-১৫ মরশুমে আমি বিএফসি’র হয়ে প্রায় সব ম্যাচ খেলেছিলাম। মালয়েশিয়ার জোহর দারুলের বিরুদ্ধে এএফসি কাপে আমার অভিষেক হয়েছিল।’
তখন আইএসএল ও আই লিগ পৃথকভাবে হতো। তাই ২০১৫ সালে তিনি নর্থইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছিলেন। ২০১৬ -১৭ সালে তিনি বিএফসি’তেই ছিলেন। তারপর এফসি গোয়া এবং কেরল ব্লাস্টার্স ঘুরে তিনি ইস্ট বেঙ্গলে এসেছেন। আই লিগ এবং আইএসএলের পাঁচটি ক্লাবে খেলার সূত্রে রালতে এখন অনেক অভিজ্ঞ। ইস্ট বেঙ্গলের গোলরক্ষক কোচ অভ্র মণ্ডল বললেন,‘ওর প্রতিবর্ত ক্রিয়া দারুণ। ক্রেপসি, মেহতাবদের সঙ্গে ক্রমাগত প্র্যাকটিস করায় একটা বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। রক্ষিত ডাগরও আছেন। তাই গোলরক্ষক পজিশন নিয়ে এবার তেমন চিন্তা নেই।’