সংবাদদাতা, কাটোয়া: ভারোত্তোলনে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় পূর্ব বর্ধমান জেলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে সোনা জিতলেন কাটোয়ার সাত পড়ুয়া। পাশাপাশি তারা জাতীয় স্তরে রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেল। ওই সাতজনের মধ্যে ছ’জন ছাত্র ও একজন ছাত্র রয়েছে। ওই সাতটি সোনা নিয়ে কাটোয়ার পড়ুয়ারা মোট ১৩টি পদক পেয়েছে। তার মধ্যে তিনটি রুপো এবং তিনটি ব্রোঞ্জের পদক রয়েছে।
৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর হুগলির ভদ্রেশ্বরে পশ্চিমবঙ্গ স্টেট কাউন্সিল স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস আয়োজিত সারা বাংলা জেলা স্কুল ওয়েট লিফটিং চাম্পিয়নশিপ হয়। সেখানে মোট ২০টি বিভাগে রাজ্যের ১১টি জেলার মোট ১৭০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে কাটোয়া থেকে ১৮ জন ভারোত্তোলনে অংশ নেয়। তাতে রাজ্য স্তরে সোনার পদক পেয়েছে কাটোয়ার ডিডিসি গালর্স স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী পল্লবী প্রামাণিক, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সুজাতা দত্ত, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী অঙ্কিতা সরকার, কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী তনুজা মণ্ডল, নবম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রেয়া সাহা, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী অঙ্কিতা চৌধুরী এবং কেডিআই স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র শান্তনু ঘোষ।
এদিকে কাটোয়ার পড়ুয়ারা সাতটি সোনার পদক ঘরে তোলায় খুশি শহরের বাসিন্দারাও। কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পাল বলেন, এটা মহকুমার গর্বের বিষয়। আমরা ওই সাতজনকে সংবর্ধনা দেব।
পদক জয়ী পড়ুয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই দুঃস্থ। কারও বাবা রাস্তায় বেল বিক্রি করে সংসার চালান। কারও বাবা অন্যের দোকানে কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু তাঁদের ছেলে-মেয়েদের এমন সাফল্যে গর্বিত সকলেই। অভাব জয় করে সাফল্য পাওয়ায় খুশি তাদের কোচও। পদকজয়ীদের কোচ অনুপ মৈত্র বলেন, এই ধরনের খেলায় শরীরে পুষ্টির দরকার। প্রচুর ভালো খাবার দরকার। কিন্তু আমাদের পদক জয়ীদের বেশিরভাগই দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করছে। তাই ওদের মনের জোরই আসল। আমি নিজেও ওদের খাবার দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। ওরা আগামীদিনে আরও বড় হয়ে উঠুক, এটাই চাই।