বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে আতলেতিকো। প্রথম ২৫ মিনিটে তাদের সামনে কার্যত পাত্তা পায়নি বার্সেলোনা। সপ্তম মিনিটে তো প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল আতলেতিকো। মারিও হেরমোসোর শট জুনিয়র ফিরপোর পায়ে লেগে দিক বদলে পোস্টে লেগে ফিরে আসায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় বার্সা। তিন মিনিট বাদেই কিয়েরেন ট্রিপিয়েরের ক্রস থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি আলভারো মোরাতা। দুরন্ত ট্যাকলে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন জেরার্ড পিকে। এরপর ২০ মিনিটে অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় বার্সেলোনাকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন। জোয়াও ফেলিক্সের ক্রসে দারুণ শট নিয়েছিলেন মারিও হেরমোসো। দুর্দান্ত দক্ষতায় একেবারে গোললাইন সেভ করেন টের স্টেগেন।
আতলেতিকোর প্রথম ২০ মিনিটের ঝড় সামলে ধীরে ধীরে খেলায় ফিরতে থাকে বার্সেলোনা। ২৬ মিনিটে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষ শিবিরে চাপ গড়ে তোলে ভালভারদের দল। মেসির পাস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি র্যাকিটিচ। তাঁর দুর্বল শট সহজেই ধরে ফেলেন জন ওবলাক। এরপর ৩৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে লু্ইস সুয়ারেজের নেওয়া বুলেট গতির শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। পাঁচ মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল আতলেতিকো। অরক্ষিত আলভারো মোরাতার হেড রুখে দিয়ে আবারও বার্সাকে বাঁচান গোলরক্ষক টের স্টেগেন। কপাল ভালো থাকলে দুই মিনিট পরই কাঙ্ক্ষিত গোল পেতে পারত বার্সেলোনা। কিন্তু মেলোর কর্নার কিক থেকে জেরার্ড পিকের হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবেই।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ২৫ মিনিটে দুই দলই একটি করে সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু গোলের দরজা খোলেনি। ৬৩ মিনিটে রবার্তোর ক্রস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন সুয়ারেজ। এর ছয় মিনিট পরেই নিজেদের অর্ধ থেকে দুর্দান্ত দক্ষতায় প্রতিপক্ষের চার খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি। পরে সুরারেজকে পাস দিলে ফাঁকায় গ্রিজম্যানকে বল দেন এই উরুগুয়ান ফরোয়ার্ড। কিন্তু গ্রিজম্যানের ভলি লক্ষ্যে থাকেনি। ৭২তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ গড়ে তোলে আতলেতিকো। কিন্তু মোরাতার শট গোললাইন থেকে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন রবার্তো।
অবশেষে ৮৭ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। নিজেদের সীমানা থেকে রবার্তোর বাড়ানো পাস ধরে লম্বা দৌড় লাগান মেসি। কিছুটা আড়াআড়ি এগিয়ে সুয়ারেজকে বল বাড়িয়ে নিজে এগিয়ে যান বাঁদিকে। এরপর আলতো টোকায় ফের তাঁর দিকে বল ঠেলে দেন সুয়ারেজ। এবার আর সুযোগ হাতছাড়া করেননি ছয়বারের বর্ষসেরা মহাতারকা। বক্সের কিনারা থেকে বাঁপায়ের দুর্দান্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। প্রায় আটকে যাওয়ার মুখ থেকে জয়ের দেখা পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন বার্সা সমর্থকরা। এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে টেবল শীর্ষে ফিরে এল বার্সেলোনা। সমসংখ্যক ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল পার্থক্যের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে সেভিয়া। আর ১৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।