বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবার প্রাথমিক তালিকায় ৩০ জন ফুটবলারের নাম রয়েছে। বিভিন্ন দেশের মোট ১৮০জন সাংবাদিকের ভোটে নির্বাচিত হবেন সেরা ফুটবলার। উল্লেখ্য, এবার উয়েফার বর্ষসেরা খেতাব পেয়েছেন লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডিক। কিন্তু ফিফার বর্ষসেরার দৌড়ে তাঁকে এবং রোনাল্ডোকে পিছনে ফেলে বাজিমাত করেছিলেন লিও মেসি।
প্যারিসে কার হাতে উঠবে সেরার সম্মান? এদিন ট্যুইটারের মাধ্যমে একটি অজানা সূত্র অবশ্য দেখিয়ে দিয়েছে যে, ৪৪৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ব্যালন ডি’ওর পাচ্ছেন লিও মেসিই। এই তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভার্জিল ফন ডিক (৩৮২) ও মহম্মদ সালাহর (১৭৯) নাম। রোনাল্ডো রয়েছেন চতুর্থ স্থানে (১৩৩)। ফুটবল অনুরাগীদের মতে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পক্ষে খেতাব জয়ের সম্ভাবনা কম। লড়াই মূলত সীমাবদ্ধ থাকবে মেসি এবং ভার্জিল ফন ডিকের মধ্যে। লিভারপুলের কোচ জুরগেন ক্লপ দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছিলেন, ‘এই প্রজন্মের সেরা ফুটবলার বেছে নিলে মেসি ছাড়া অন্য কারও নাম মাথায় আনা উচিত নয়। তবে গত মরশুমের সেরা ফুটবলারকে সম্মান জানালে তা অবশ্যই পাওয়া উচিত ভার্জিল ফন ডিকেরই।’
গত মরশুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী লিভারপুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ফন ডিক। পরিসংখ্যান বলছে, প্রিমিয়ার লিগে ৪৯টি ম্যাচে তাঁকে ড্রিবল করে বিপক্ষের কোনও ফুটবলার বেরতে পারেননি। শূন্যে হোক বা জমিতে তিনিই দুর্ভেদ্য। উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে পর্তুগালের কাছে হারলেও নেদারল্যান্ডস রক্ষণের স্তম্ভ ছিলেন ফন ডিক। ভার্জিল ফন ডিকের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী লিও মেসি। ইতিমধ্যেই পাঁচবার ব্যালন ডি’ওর খেতাব জেতা হয়ে গিয়েছে আর্জেন্তাইন মহাতারকাটির (২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫)। গত মরশুমে শুধুমাত্র লা লিগা জিতেছেন মেসি। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং কোপা দেল রে’তে ব্যর্থতাই সঙ্গী হয়েছিল তাঁর। কিন্তু বার্সেলোনার হয়ে তাঁর ধারাবাহিক দুরন্ত পারফরম্যান্স অনেকের মন ভরিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫১টি গোল করেছেন আর্জেন্তাইন মহাতারকাটি। গত মরশুমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো জুভেন্তাসের হয়ে সিরি-এ এবং সুপার কাপ জিতেছেন। পাশাপাশি পর্তুগালের হয়ে স্বাদ পেয়েছেন উয়েফা নেশনস লিগের। ক্লাব এবং দেশের হয়ে এই সাফল্যের কারণে সিআরসেভেনও এবার ব্যালন ডি’ওরের অন্যতম দাবিদার। এখনও পর্যন্ত পাঁচবার (২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭) এই খেতাব পেয়েছেন রোনাল্ডো। মহিলাদের বিভাগে ব্যালন ডি’ওর জয়ের সম্ভাবনা প্রবল আমেরিকার মেগান র্যাপিনোর।