পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গোলাপি টেস্ট ঘিরে শুক্রবারের ইডেনে বসেছিল চাঁদের হাট। ক্লাব হাউসের দোতলায় ডানদিকে প্রেসিডেন্ট বক্সের প্রথম বক্সে বসেছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন নক্ষত্ররা। চাঁদু বোরদের সঙ্গে গল্পে মশগুল ছিলেন অংশুমান গায়কোয়াড়। দ্বিতীয় সারিতে বসে ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার গল্প জুড়েছিলেন দিলীপ বেঙ্গসরকারের সঙ্গে। চলল সেলফি পর্বও। সৌরভের শহরে উষ্ণ আতিথেয়তায় মুগ্ধ প্রাক্তনরা। তারই ফাঁকে একান্তে নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার। গোলাপি টেস্টের উন্মাদনা দেখে দারুণ খুশি তিনি। এক নিঃশ্বাসে বললেন, ‘টেস্ট ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে ভিড় উপচে পড়েছে। দারুণ প্রয়াস। এর জন্য সৌরভকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। ও কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের রংটাই গোলাপি করে দিল। তবে এমন একটা ঐতিহাসিক ম্যাচে বাংলাদেশের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষকে না বাছলেই ভালো হত। উইকেট দারুণ। ওদের ব্যাটসম্যানদের বেসিকের সমস্যা রয়েছে। না হলে এভাবে কেউ আউট হয়! বল তো প্রথম দিকে স্যুইং করবেই। তা খেলার কৌশল রপ্ত না করে কী করে টেস্ট খেলতে নেমেছে? মমিনুলদের দেখে মনে হচ্ছে, স্কুলের ছেলেরা খেলছে। ভারতের মতো ফর্মে থাকা দলের বিরুদ্ধে সাকিব-তামিমকে ছাড়া খেললে এরকমই অবশ্য হওয়ার কথা।’ বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে ঘিরে বহু স্বপ্ন দেখছেন ফারুখ। তাঁর সাফ কথা, ‘দাদা বিসিসিআইয়ের সব কিছু বদলে দেবে। তা আমরা বুঝতে পারছি। আগে যাঁরা ছিল, তারা কিচ্ছু করেনি। আমার মনে হয়, এতদিন পর ভারতীয় ক্রিকেটের দায়িত্ব সঠিক ব্যক্তির হাতে গিয়েছে।’
আপনার সময় গোলাপি বলে টেস্ট হলে কেমন হত? হাসতে হাসতে ভারতের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানটি বললেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৎকালীন পেসারদের কথা মনে পড়লে কেউ ব্যাট করতেই নামত না। আমাদের সময় ক্যারিবিয়ান বোলাররা মানুষ মেরে ফেলার মতো বল করত। ওরা গোলাপি বলে পেলে যে কী হত! আমাদের সময় হেলমেট ছিল না, পিচ কভার থাকত না। বাপরে, ভয়ে হয়তো ব্যাট করতেই নামতাম কেউ।’
কিছুদিন আগেই জাতীয় নির্বাচকদের তুলোধনা করেছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় দেখেছি, জাতীয় নির্বাচকরা কোহলির বউ অনুষ্কাকে চা এগিয়ে দিতে ব্যস্ত। এদের যোগ্যতা নিয়েই আমার সন্দেহ হয়।’ তবে এই বক্তব্যের জন্য পরে অনুষ্কার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে নিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানের প্রতিনিধির সঙ্গে একান্তে কথা বলার সময় তিনি বললেন, ‘চ্যাপ্টার ক্লোজড। বাপরে বাপ, মজার ছলে কিছু বলেছিলাম। মিডিয়ার তার উল্টো ব্যাখ্যা করে দিল। কখনওই অনুষ্কাকে আঘাত করতে চাইনি। ওরা হ্যাপি কাপল। দেশের রোল মডেল। সবাই ওদের ভালোবাসে। আমারও খুব পছন্দ।’ তবে জাতীয় নির্বাচকদের নিয়ে নিজের বক্তব্য থেকে একটুও সরেননি ভারতের প্রাক্তন উইকেটরক্ষকটি। দ্বিধাহীন ফারুখের মন্তব্য, ‘নির্বাচকরা ঘরোয়া ক্রিকেটারদের খেলা ভালো করে দেখে না। তাই বিদেশ সফরের দল নির্বাচনে অনেক ভুলত্রুটি রয়ে যায়।’