জয় চৌধুরি, কলকাতা: বেলা আড়াইটে পর্যন্ত সিএবি ক্লাব হাউসের দোতলায় প্রেসিডেন্ট বক্সে মাছি গলার উপায় ছিল না। দোতলার লাউঞ্জে কলকাতা পুলিসের সঙ্গে তখন মিলেমিশে একাকার দুই বঙ্গের নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রথম ব্রেকের পর ওই প্রেসিডেন্ট বক্সটি দেশের খেলাধূলার জগতের প্রাক্তন ও বর্তমান তারকাদের দখলে চলে যায়। একদম প্রথম সারিতে ছিলেন শচীন তেন্ডুলকর। পাশে এসে বসলেন অনিল কুম্বলে, হরভজন সিং, অশোক মালহোত্রা, গৌতম গম্ভীর। মিনিট দশেকের জন্য ঘুরে গেলেন গুণ্ডাপ্পা বিশ্বনাথও। একেবারে পিছনের সারিতে ভারতীয় খেলাধূলার জগতের তিন মহিলা নক্ষত্র-- মেরি কম, পিভি সিন্ধু ও সানিয়া মির্জা। এর মধ্যে টেনিস তারকাটি কিছুটা টেনশনে ছিলেন। বক্সের বাইরে বেরিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ফোনে উত্তেজিতভাবে কথা বলতেও দেখা গেল তাঁকে। প্রথম দিনের দ্বিতীয় ব্রেকের মুখে বোনকে পাশে নিয়ে সানিয়া বলেন,‘আমি একটু ক্লান্ত। কলকাতায় অনেকবারই খেলে গিয়েছি। ২০০৫ সালে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সানফিস্ট ওপেনের স্মৃতি ভোলার নয়। তবে কখনও ভাবিনি, ইডেনে বসে ভারতীয় দলের কোনও ম্যাচ দেখব। কলকাতাবাসীদের ক্রিকেটপ্রেমের অনেক কথাই শুনেছি। আজ প্রত্যক্ষ করে আমি মুগ্ধ।’ সানিয়া মির্জা ও তাঁর বোনের সঙ্গে ছিলেন আজহার ও তাঁর ছেলে।
এদিন তিন মহিলা মহাতারকার মধ্যে সবথেকে ভালো মুডে ছিলেন মেরি কম। তিনি বললেন,‘এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আমি ক্রিকেট মাঠে এলাম। আমাদের রাজ্যে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বেশি নয়। তবে ব্যাক্তিগতভাবে বিরাট কোহলির অনুরাগী। ওর আগ্রাসনের ভক্ত। টোকিও ওলিম্পিকসে আমার যাওয়া নিয়ে ইদানীং অনেক কথা হচ্ছে। নিখাত জারিনের বিরুদ্ধে বাছাই পর্ব খেলতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। বাছাই পর্বের গণ্ডি অতিক্রম করে টোকিও ওলিম্পিকসের টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ ব্যাডমিন্টনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পিভি সিন্ধু জানালেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে ছিলাম। পরপর টুর্নামেন্ট। এর মধ্যে ইডেনে টেস্ট ম্যাচ দেখতে আসায় বেশ ভালো লাগছে।’