কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইডেনের ঐতিহাসিক গোলাপি টেস্টে ভারতেরই পাল্লা ভারি। হতে পারে, দুই দলের কাছে এটাই প্রথম দিন-রাতের টেস্ট। কিন্তু বিরাট বাহিনীর ব্যাটিং-বোলিং অনেক বেশি শক্তিশালী বাংলাদেশের তুলনায়। এতদিন ইডেনে টেস্ট মানে সকালের সেশনটাই গুরুত্বপূর্ণ হত। গঙ্গার দিক থেকে হিমেল হাওয়া, শিশিরে ভেজা আউটফিল্ড আর স্যাঁতসেতে পিচের সুবিধা কাজে লাগাতেন টস জেতা ক্যাপ্টেন। গোলাপি বলে ছবিটা পুরোপুরি উল্টো। নতুন বলে প্রথম সেশনে পেসাররা হয়তে ভেল্কি দেখাবেন, ব্যাটসম্যানদের কাজটা এক্ষেত্রেও কঠিন। তবে খেলা জমবে গোধুলির পরে। বিশেষ করে তৃতীয় সেশনে।
এই ভারতীয় দলের যে ক’জন ক্রিকেটারের গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম পেসার মহম্মদ সামি। ইন্দোরে প্রথম টেস্টে তিনি আগুনে বোলিংয়ে টলিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। এই ম্যাচেই নজর থাকবে সামির উপর। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসজি গোলাপি বলে সামি-উমেশ আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন। তৃতীয় পেসার হিসেবে প্রথম একাদশে থাকতে পারেন ইশান্ত শর্মা। তবে আগ্রহ তুঙ্গে স্পিনারদের নিয়ে। ঘরের মাটিতে লাল বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণি সামাল দেওয়ার মতো ব্যাটসম্যান হাতে গোনা এই বাংলাদেশ দলে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে ‘টিম ইন্ডিয়া’র অনুশীলনে রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব যেভাবে নেটে হাত ঘোরালেন, ব্যাট করলেন, তাতে কি ইঙ্গিতপূর্ণ? অশ্বিনের জায়গায় কি তিনি খেলবেন?
ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। ওপেন করবেন রহিত শর্মা ও দুরন্ত ফর্মে থাকা মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তিনে নামবেন চেতেশ্বর পূজারা। ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি চার নম্বরে দলের বড় ভরসা। গত ম্যাচে রান পাননি ভিকে। তাই ইডেনে তিনি রানের রংমশাল জ্বালাতে তৈরি। অজিঙ্কা রাহানেও মিডল অর্ডারে দলের বড় ভরসা। তবে ঋদ্ধিমান সাহা রান পাচ্ছেন না। তাই রবীন্দ্র জাদেজাকে তুলে আনা হচ্ছে উপরের দিকে। সেটা বাংলার পাপালির পক্ষে মোটেও ভালো ইঙ্গিত নয়। আগামী দিনে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলে তাঁর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই, সেটা কোহলি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন।
হারানোর কিছু নেই বাংলাদেশের। সাকিব-তামিম হীন টাইগার্স ব্রিগেডের লক্ষ্য ভালো ক্রিকেট খেলা। ভারতীয় পেসারদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই গোলাপি বলে প্রথম টেস্ট খেলার স্মৃতিকে মধুর করে তুলতে চান মমিনুল হকরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করার সংকল্প নিয়েই মাঠে নামবেন মমিনুলরা।