গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মমিনুলকে ঢাকা থেকে আসা সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ভারতের বিরুদ্ধে কতটা প্রতিরোধ গড়তে পারবে আপনার দল? এবারও কি ম্যাচ তিনদিনে শেষ হয়ে যাবে? মমিনুল এই প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেন। মনে হল, ইডেনে খেলতে নামার আগেই যেন হেরে বসে আছে বাংলাদেশ। গোলাপি টেস্ট চতুর্থ দিনে নিয়ে যাওয়াটাই এখন তাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মমিনুল সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল পিঙ্ক বলে হলেও সেই ম্যাচে খেলা কোনও ক্রিকেটার এই দলে নেই। ভারতীয় দলে তবুও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছেন যাঁরা গোলাপি বলে খেলেছেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুটা এগিয়ে আছে আছে ভারত। ইডেনে পিঙ্ক বলে সরাসরি টেস্ট খেলতে নামার আগে একটি প্র্যাকটিস ম্যাচ পেলে ভালো হত। কারণ, গোধুলি লগ্নে গোলাপি বলের বিরুদ্ধে ব্যাট করা সত্যিই অসুবিধাজনক। আগে না খেললেও ফ্লাডলাইটেও মানিয়ে নেওয়া বেশ অস্বস্তিকর। ইন্দোর টেস্টে আমাদের অনেক ভুলভ্রান্তি ছিল। আমরা গত তিনটি প্র্যাকটিস সেশনে সেগুলি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে অনেক বেশি ধৈর্য্য দেখাতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভারতের পেস আক্রমণ এখন বিশ্বের সেরা। উইকেটের চরিত্র বুঝে আমরা শুক্রবার সকালে প্রথম একাদশ ঠিক করব। আপনারা বলছেন, তিনদিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাবে। চতুর্থ দিনে ম্যাচ যাবে কিনা তা আমি কী করে বলব? শুক্রবার প্রথম এক ঘণ্টায় অনেক কিছুই ঘটতে পারে। মনে রাখতে হবে, এই পিচে একটি বল চলতি মরশুমে পড়েনি।’ ইডেনে উপস্থিত প্রায় ৬৭ হাজার সমর্থকের চিৎকারের চাপ নিতে পারবে আপনার দল? মমিনুলের উত্তর, ‘ফাঁকা গ্যালারির সামনে খেলতে আমাদের ভালো লাগে না। গ্যালারি ভর্তি থাকাটা আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে আশীর্বাদও হতে পারে।’
এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আসা নিরাপত্তাবাহিনীর প্রবল আপত্তিতে হেলিকপ্টার থেকে গোলাপি বল নামানোর পরিকল্পনা বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে বাতিল করতে হয় দুপুরে। বাংলাদেশের আপত্তি থাকায় এই ব্যাপারটি নিয়ে জেদাজেদি করেনি সিএবি। যদিও প্যারাট্রুপিংয়ের ব্যাপারে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ফোর্ট উইলিয়াম কৃর্তপক্ষ।