বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রথম দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচটি খেলা হয়েছিল। অতীতে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলার প্রস্তাব পেলেও ভারতীয় দল রাজি হয়নি। কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে বসেই তিন সেকেন্ডের মধ্যে বিরাটকে দিন-রাতের টেস্ট খেলতে রাজি করিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে টেনে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘গোলাপি বলে টেস্ট আমরাও খেলতে চাই। ক্রিকেটের স্বার্থে যে কোনও পরিবর্তনকেই স্বাগত জানাতে তৈরি আমরা। কিন্তু বিদেশের মাটিতে হঠাৎ করে কোনও সফরসূচিতে পিঙ্ক টেস্ট অন্তর্ভুক্ত করা ঠিক নয়। অস্ট্রেলিয়ায় আমরা গোলাপি বলে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগও পেতাম না। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই আমাদের। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, গোলাপি বলে প্রথম আমরা ঘরের মাঠে টেস্ট খেলে দেখে নিতে চাই। কোকাবুরা বল নিয়েও আমাদের কিছু আপত্তি ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, নতুন কিছুতে সব সময়ই স্বাগত জানানো উচিত। কিন্তু সেটা নিয়ম মেনে করা দরকার।’
শুধু দেশে নয়, উপ-মহাদেশের মাটিতে এই প্রথম গোলাপি টেস্টের আসর বসছে। তার আসল কারিগর কিন্তু বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। আগামী দিনে ভারতীয় দল আরও বেশি করে গোলাপি টেস্ট খেলতে আগ্রহী। রাহুল দ্রাবিড়ের বক্তব্য টেনে বিরাট জানান, ‘টেস্ট ক্রিকেটের একটা ক্যালেন্ডার হওয়া দরকার। তাতে আমাদের মতো দর্শকদেরও সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই টেস্ট ম্যাচ দেখার পরিকল্পনা করে টিকিট কেটে রাখতে পারবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এখন কাজ ফেলে কেউ আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঠে গিয়ে টেস্ট খেলা দেখতে যেতে পারেন না। মরশুমের শুরুতেই একটা ক্যালেন্ডার তৈরি হলে সবাই উপকৃত হবে।’
গোলাপি বলে কাজটা অনেক বেশি কঠিন হবে ফিল্ডারদের। এমনটাই মনে করছেন ক্যাপ্টেন কোহলি। তিনি জানিয়েছেন, ‘এসজি বোলাপি বল বেশ শক্ত। অনেকটা হকি বলের মতো লাগছে। আমরা যখন কেরিয়ারের শুরুতে সিন্থেটিক ক্যাম্বিস বলে খেলতাম, তেমনটা মনে হচ্ছে। গোলাপি বলের উপর অতিরিক্ত পালিস থাকায় হড়কে যাচ্ছে। লাল বলের তুলনায় এই বল গ্রিপ করতে সমস্যা বেশি উইকেটরক্ষকদের। দিনের বেলায় বল উঁচুতে উঠলে দৃশ্যমানতার সমস্যা হচ্ছে। ক্যাচ ধরার সময় হাতের তালু সময় মতো নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে পারছি না।’
নতুন বলে প্রথম সেশনে ব্যাটসম্যানদের বিপদ অনেক বেশি। এই প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ‘বলের রং ধরে রাখতে উইকেটে একটু বেশি ঘাস রাখা হচ্ছে। তার সঙ্গে গোলাপি রংয়ের গ্লেজ বেশি থাকায় স্কিড করছে। মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। প্রথম দিনের খেলার পর বুঝতে পারব, ম্যাচে শিশির কত বড় ফ্যাক্টর হবে।’