উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
পাঁচ বছরের বেশি সময় টটেনহ্যামের দায়িত্বে ছিলেন পোচেত্তিনো। এই পর্বে কোনও ট্রফি না জিতলেও ইংলিশ ফুটবলে যথেষ্ট সমীহ আদায় করেছিল সংশ্লিষ্ট ক্লাবটি। কিন্তু এবার প্রিমিয়ার লিগে একেবারেই ছন্দে নেই পোচেত্তিনো-ব্রিগেড। দ্বাদশ রাউন্ডের পর মাত্র ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে চতুর্দশতম স্থানে রয়েছে তারা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সাউদাম্পটনকে হারানোর পর লিগের টানা পাঁচটি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেননি হ্যারি কেন-ডেলে আলিরা। ক্রমশই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছিল শীর্ষকর্তাদের। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতেই পোচেত্তিনোকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে থেকেই আর্জেন্তাইন কোচের পরিবর্তে হোসে মরিনহোর নাম ভাসছিল। উল্লেখ্য, ২০১৮’র ১৮ ডিসেম্বর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচের চাকরি চলে যাওয়ার পর এতদিন কর্মহীন ছিলেন পর্তুগালের এই কোচ। বুধবার দায়িত্ব নেওয়ার পর মরিনহো বলেছেন, ‘ঐতিহ্যপূর্ণ ক্লাবের কোচের পদ পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত। টটেনহ্যাম হটস্পারের সমর্থকদের আমি চিনি, জানিও। প্রিয় দলের জন্য ওদের গলা ফাটানোর শব্দের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে। মূল দল এবং আকাদেমিতে একঝাঁক দক্ষ ফুটবলার রয়েছে। চেষ্টা করব, নিজের সেরাটা দিয়ে ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আগামী শনিবার লন্ডন ডার্বিতে আমরা খেলব ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচেই তিন পয়েন্ট চাই। টটেনহ্যামে চার বছর দারুণ কাজ করেছেন মরিসিও পোচেত্তিনো। গতবার তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও দলকে তুলেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। আশা করব, সমর্থকরা বিদায়ের দিনে ওঁকে শুভেচ্ছা জানাবেন।’
টটেনহ্যামের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভির মন্তব্য, ‘আধুনিক ফুটবলে হোসে মরিনহোর মতো সফল কোচ খুব কমই রয়েছেন। পর্তুগাল, ইংল্যান্ড, ইতালি ও স্পেনের লিগ জয়ের বিরল অভিজ্ঞতা রয়েছে ওঁর। যা টটেনহ্যামকে বিলিয়ে দিতেই মরিনহোর আগমন। আগামী চার বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে দ্য স্পেশাল ওয়ানের সঙ্গে।’
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চলতি মরশুমে টটেনহ্যামের পক্ষে প্রথম চারের মধ্যে লিগ শেষ করা কার্যত অসম্ভব। মরিনহো দায়িত্ব নিলেও দুম করে দলের ভোল পাল্টে ফেলতে পারবেন না। পর্তুগিজ কোচের প্রশিক্ষণ রীতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দিতে হবে ফুটবলারদেরও। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি মরশুমে লিগের প্রথম ১২টি ম্যাচে ১৭টি গোল হজম করেছে স্পার। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পরে রক্ষণ বিন্যাস ঠিক করাই হবে মরিনহোর কাছে প্রথম ও প্রধান চ্যালেঞ্জ।