উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
ঐতিহাসিক টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির এমনই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হতে চলেছে আগামী শুক্রবার। ভারত-বাংলাদেশ দিন-রাতের ‘গোলাপি’ টেস্টের প্রথমদিন অর্থাৎ শুক্রবার টি-ব্রেকের সময় সঙ্গীত পরিবেশন করবেন সৌম্যজিৎ দাস। সঙ্গে থাকবেন অবশ্যই সৌরেন্দ্র এবং আরও কয়েকজন। সন্ধ্যা ৫-৪০ থেকে ১৫ মিনিটের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান। কিন্তু এর ব্যাপ্তিকে সীমারেখার মধ্যে বন্দি করা সম্ভব নয়। মঙ্গলবার বিকেলে সৌম্যজিৎ তাই বললেন, ‘দাদার (সৌরভ) মগজ থেকেই এই পরিকল্পনা বেরিয়েছে। ওঁর পরামর্শেই অনুষ্ঠানে ভারতীয় রাগসঙ্গীত বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এই সুযোগ পেয়ে আমরা আপ্লুত। ১৫ মিনিটের অনুষ্ঠানকে দু’ভাগে ভাগ করেছি। প্রথম পর্বের নাম দিয়েছি বাংলার গর্ব। এখানে থাকবে কবিগুরু, সত্যজিৎ রায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অমর সৃষ্টির এক কোলাজ। প্রতিটি গানের আন্তর্জাতিক আবেদন যথেষ্ট। আর দ্বিতীয় পর্বে ভারতের ঐক্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ভৈরব রাগের আলাপের মধ্যে দিয়ে ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’ পরিবেশন করব আমরা। নয়ের দশকে দূরদর্শনে এই গান প্রত্যেকের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। দেশের বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করায় যার জনপ্রিয়তা এখনও অটুট। সবশেষে থাকবে ‘জয় হো’ এবং উপনিষদের শান্তি মন্ত্র।’
কানায় কানায় পূর্ণ ইডেন গার্ডেন্সে সঙ্গীত পরিবেশন করার জন্য মুখিয়ে আছেন সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ। এই প্রসঙ্গে তাঁদের প্রতিক্রিয়া, ‘সৌরভ গাঙ্গুলির দেওয়া এই সুযোগ অবশ্যই কাজে লাগাব। আশা করি, বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দের পাশাপাশি সাধারণ দর্শকদেরও ভালো লাগবে এই অনুষ্ঠান। এছাড়া ক্রিকেটাররা তো রয়েইছেন। খেলার মধ্যে গানের বিরতি যেন বিরাট কোহলি-মুশফিকুরদের উদ্দীপ্ত করতে পারে, সেই চেষ্টাই করব।’