গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গোধুলিতে গোলাপি বল দেখতে সমস্যা হতে পারে। নভেম্বরের মাঝামাঝি ইডেনে হচ্ছে টেস্ট। তাও আবার দিন-রাতের। ফলে সন্ধ্যার পর কতটা শিশির পড়বে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। যাবতীয় রহস্য উম্মোচনের লক্ষ্যে বুধবার বিকেলে অনুশীলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট কোহলিরা। প্র্যাকটিসের শুরুতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা গতানুগতিক ফুটবল খেলেন। হালকা স্ট্রেচিংয়েও ব্যস্ত রাখেন নিজেদের। মাঠের দু’দিকেই টাঙানো হয়েছিল নেট। ব্যাটিং অর্ডার মেনে নকিং সারেন রহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানেরা। বিরাট-দর্শনে এদিনও ভিড় জমেছিল ইডেনের বাইরে। কিন্তু নিরাপত্তার কড়াকড়িতে ভারতীয় দলের বাসের সামনে কেউ ঘেঁসতে পারেননি। তবে টেস্ট ম্যাচ ঘিরে দারুণ উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। তাঁর আঁচ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররাও। ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলিও। ফুটবল পায়ে ভেল্কি দেখিয়েছেন সতীর্থদের। কলকাতায় শীত এখনও সেভাবে জাঁকিয়ে পড়েনি। তবে শীত যে আসছে, তার আগাম বার্তা যেন সোয়েটার গায়ে অনুশীলনের মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করলেন ভিকে।
শুরুতেই পিচ দেখেন ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী। পরে দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদব। দলীপ ট্রফির ফাইনালে গোলাপি বলে খেলেছিলেন কুলদীপ। তবে সাফল্য আসেনি তাঁর হাতে। সেই ম্যাচটি হয়েছিল কোকাবুরা গোলাপি বলে। ভারত-বাংলাদেশ দিন-রাতের টেস্টের জন্য বিসিসিআই এসজি’কে গোলাপি বল তৈরির বরাত দিয়েছিল। যার সিম নাকি কোকাবুরা বলের থেকে বেশ উঁচু। সেক্ষেত্রে যে শুধু পেসাররা সুবিধা পাবেন তা নয়, স্পিনারদের জন্যও অনেক রসদ রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও, বিরাট কোহলিরা কিছুটা হলেও চিন্তিত গোলাপি বলের দিন-রাতের টেস্ট নিয়ে। তাই অনুশীলনে বাড়তি সময় দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। হাই ক্যাচ, স্লিপ ক্যাচের উপর বাড়তি জোর দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। শুরুতে এক দফা ফিল্ডিং অনুশীলনের পর দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে ফের ক্যাচ প্র্যাকটিস চলে।
এই ভারতীয় দলের খুব কম সদস্যই অতীতে গোলাপি বলে দিন-রাতের ম্যাচ খেলেছেন। সেই তালিকায় আছেন বাংলা দলের দুই ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা ও মহম্মদ সামি। দু’জনেই ক্লাব ক্রিকেটে মোহন বাগানের হয়ে সিএবি’র সুপার লিগের ফাইনালে গোলাপি বলে খেলেছিলেন। দারুণ ফর্মে আছেন মহম্মদ সামি। গত ম্যাচে ইন্দোরে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছিলেন তিনি। তাই সতীর্থ ঋদ্ধিমান সাহা আশাবাদী, ইডেনেও গোলাপি বলে সামি জ্বলে উঠবেন। ঋদ্ধি বলেন, ‘সামি যেরকম ফর্মে আছে, তাতে এই পিচে ওকে থামানো অসম্ভব বিপক্ষ দলের। সামির বলে গতি আছে। করাতে পারে রিভার্স স্যুইংও। তবে গোলাপি বলে আমরা প্রথমবার টেস্ট খেলছি। তাই একটু হলেও বল কেমন আচরণ করবে, তা নিয়ে দোলাচল রয়েছে। আমার বিশ্বাস, ম্যাচ যত গড়াবে এটা কেটে যাবে।’ তবে ঋদ্ধি স্বীকার করে নিয়েছেন, গোধুলিতে বল দেখতে কিছুটা সমস্যা হয়। উইকেটের পিছনে কাজটা তাঁর পক্ষে আরও কঠিন হতে পারে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ঋদ্ধিমান জানান, ‘নতুন গোলাপি বলে পেসাররা সব সময় সুবিধা পাবে। অনেক বল বল স্কিড করতেও পারে। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের কাজটা প্রারম্ভিক পর্বে কঠিন হলেও হতে পারে। সাইটস্ক্রিনের রংটাও বড় ফ্যাক্টর। সাদা বলের ক্ষেত্রে সাইটস্ক্রিন হল কালো। গোলাপি বলের ক্ষেত্রে সাদা হবে। সেক্ষেত্রে বল একটু পুরানো হলে উইকেটরক্ষকের পক্ষে কাজটা কঠিন হবে।’