সুকান্ত বেরা: সিরিজে যে তাঁরা ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে, সেটা মমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহদের শরীরী ভাষা দেখে বোঝার উপায় নেই। কলকাতায় টেস্ট খেলার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের উচ্ছ্বাসে ভাসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তার উপর গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট। আনন্দ যেমন রয়েছে, উদ্বেগও তাড়া করছে বাংলাদেশকে। আসলে, ইন্দোরে প্রথম টেস্টে মহম্মদ সামি, উমেশ যাদবদের আগুনে বোলিংয়ে সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। দ্বিতীয় টেস্ট আবার গোলাপি বলে দিন-রাতের। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ মুশফিকুর বললেন, ‘প্রথম ম্যাচ অতীত। সামনের দিকে তাকাতে চাই। সিরিজে সমতা ফেরানোর কথা ভেবে মাঠে নামব না। ভালো খেলাই আমাদের লক্ষ্য। কলকাতার দর্শক সমর্থনও আশা করছি। গত ম্যাচের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, ঐতিহাসিক ম্যাচে আমরা ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারব।’
সাকিব-আল-হাসান,তামিম ইকবালদের অনুপস্থিতি কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপকে যথেষ্ট দুর্বল করেছে। তাই চাপ বাড়ছে মুশফিকুরের উপর। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাকিবের না থাকাটা নিঃসন্দেহে আমাদের কাছে বড় ধাক্কা। চ্যালেঞ্জও। আমরা তা কাটিয়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। সময় লাগবে।’
দুপুরে টিম হোটেলে চেক-ইন করে কলকাতার এক বন্ধুর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যাওয়ার কথা ছিল মুশফিকুরের। কিন্তু বিমান পৌনে তিন ঘণ্টা দেরিতে কলকাতার মাটি স্পর্শ করায়, মুশফিকুরের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তবে সময় হাতে কম। তাই কলকাতায় শপিং করার লোভ ছাড়তে পারেননি তিনি। বাংলাদেশ দলের লোকাল মিডিয়া ম্যানেজারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েছিলেন শহর ঘুরতে। সেই সুযোগে কেনাকাটাও সেরে নেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষকটি। পার্ক সার্কাস এলাকার একটি শপিং মল থেকে তিনি বহুজাতিক সংস্থার জুতোও কেনেন। তবে শপিংয়ের আরও বৃহত্তর পরিকল্পনা রয়েছে মুশফিকুরের। তাঁর গোটা পরিবার কলকাতায় আসছে টেস্ট ম্যাচ দেখতে। আর তাই টিম হোটেলেই তিনি পরিবারের জন্য আলাদা ঘরও বুক করে রেখেছেন।
কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে মমিনুল হকদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। রাত আটটার সময় টিম বাসে চড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নৈশভোজে যোগ দেন। জেট ল্যাগ কাটিয়ে বুধবার সকালেই ইডেনে অনুশীলনে নেমে পড়বেন টাইগাররা। বিকেলে বিরাট কোহলিদের প্র্যাকটিস করার কথা।’