পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার সকালেই শহরে পা রাখছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও সহ-অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। বিসিসিআই সূত্রে পাওয়া খবরে মুম্বই থেকে একই বিমানে আসছেন দুই তারকা ক্রিকেটার। সকাল ৯-৪০ মিনিটে তাঁদের কলকাতায় আসার কথা। সিএবি’র লোকাল ম্যানেজার ও পুলিসের তৎপরতাও তুঙ্গে। বাংলাদেশকে প্রথম টেস্টে হারাতে মাত্র তিন দিন সময় লেগেছিল কোহলি বাহিনীর। ম্যাচরে বাকি দু’দিন গোলাপি বলের প্রস্তুতি সেরেছেন ভারতীয় দলের অধিকাংশ সদস্য। আসলে, দেশের মাটিতে এর আগে কখনও গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট খেলা হয়নি। ভারতীয় দল অতীতে বেশ কয়েকবার দিন-রাতের টেস্ট খেলার প্রস্তাব পেলেও, তা প্রত্যাখান করেছিল। অবশেষে নতুন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির ইচ্ছাতেই বরফ গলেছে। কোহলিরা রাজি হয়েছেন দিন-রাতের টেস্ট খেলতে। তাই ঐতিহাসিক ম্যাচ ঘিরে আবেগ যেমন কাজ করছে, তেমনি আশঙ্কাও রয়েছে মনের মধ্যে।
রহিত শর্মা আসছেন মঙ্গলবার গভীর রাতে। সিএবি সূত্রের খবর, ‘হিটম্যান’ রাত ১-৫৫ মিনিটে কলকাতায় নামবেন। রাত পৌনে দশটায় আসছেন পেসার ইশান্ত শর্মা। ইন্দোর টেস্টে জয়ের অন্যতম কারিগর পেসার মহম্মদ সামি ও উমেশ যাদব আসছেন বুধবার সকালের বিমানে। ইন্দোর থেকে বিশেষ বিমানে আসছেন ভারতীয় দলের বাকি ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশেষ বিমান মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটায় কলকাতা বিমানবন্দর স্পর্শ করবে। সকালে পৌঁছে গেলেও মঙ্গলবার কোহলি, রাহানেরা হয়তো অনুশীলন করবেন না। তবে বুধবার বিকেলে অনুশীলন করার কথা ভারতীয় দলের। ওইদিন সকালে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ইডেনে গা ঘামাতে পারেন।
গোলাপি টেস্টের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্বে। তৈরি ইডেন গার্ডেন্সও। শহর মুখ ঢেকেছে গোলাপি রংয়ে। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। সাম্প্রতিক অতীতে টেস্ট ম্যাচ ঘিরে এমন উন্মাদনা দেখা যায়নি তিলোত্তমায়। আসলে, গোলাপি বলে প্রথমবার দেশের মাটিতে হতে চলা টেস্টে সাক্ষী থাকতে চায় অনেকেই। চল্লিশ হাজারের মতো টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তাই কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবুও চাতক পাখির মতো টিকিট প্রত্যাশীরা প্রত্যেক দিনই ভিড় জমাচ্ছেন মহমেডান স্পোর্টিং মাঠ ও ক্লাব হাউসের গেটের সামনে।
ইডেন ঘণ্টা বাজিয়ে ম্যাচের শুভ সূচনা করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। আর সেই কারণেই নিরাপত্তার বিষয়টি আরও জোরদার করতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। সোমবার বিকেলে নগরপাল অনুজ শর্মার নেতৃত্বে পুলিশের এক বড় প্রতিনিধি দল ইডেন ঘুরে দেখে। সঙ্গে ছিলেন সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়াও। পরে নগরপাল জানান, ‘আমরা সিএবি’র প্রস্তুতি দেখে খুশি। কিছু বিষয়ে আরও সতর্কতা দরকার। সেটা বলা হয়েছে। আসা করছি, সুষ্ঠুভাবেই ম্যাচ সম্পন্ন হবে।’