বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রশ্ন: প্রথম গোলাপি বলে খেলার সময় কেমন লেগেছিল?
অরিন্দম: নতুন এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে পেরে আমি গর্বিত। লাল বলে খেলেছি। সাদা বলেও খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। তবে গোলাপি বলে খেলার সুযোগ যে কোনওদিন পাব ভাবিনি। পরে অনেক ম্যাচ খেলেছি। তবে গোলাপি বলে প্রথম অভিজ্ঞতার স্মৃতি আজও তাজা। আমরা মাত্র দু’দিন প্র্যাকটিসের সুযোগ পেয়েছিলাম। তাই প্রথম দিকে সবার একটু অসুবিধা হয়েছিল। কিন্তু ম্যাচ যত গড়িয়েছে, বল নিয়ে ধোঁয়াশা দূর হয়েছে।’
প্রশ্ন: গোলাপি বলে খেলার জন্য কি আলাদা প্রস্তুতি প্রয়োজন?
অরিন্দম: আলাদা প্রস্তুতি লাগে না। তবে আলোতে অনুশীলন করলে ভালো। গোলাপি বলের পালিশ খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, বল পুরানো হলেও রিভার্স স্যুইং হয় না। যাতে সুবিধা হয় ব্যাটসম্যানের। কিন্তু নতুন বলে স্যুইং বেশি হয়। ফলে সুবিধা পায় বোলাররা। তবে সন্ধ্যার সময় যখন ফ্লাড লাইট জ্বলে তখন বল দেখতে একটু সমস্যা হয়। সেটা পাপালিও (ঋদ্ধিমান) বলেছিল।
প্রশ্ন: গোলাপি বলে ভারতীয় দল সেভাবে অভ্যস্ত নয়। তাতে কী সমস্যা হতে পারে?
অরিন্দম: তা একটু হতে পারে। তাই তো বিরাট, রহিতরা এখন বেশি করে এই বলে প্র্যাকটিস করছে। তবে একটা বিষয় হল, প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হওয়ায় খুব বেশি সমস্যা ওদের হবে না। অস্ট্রেলিয়া হলে অন্য কথা ছিল। এই দলের অনেকেই গোলাপি বলে খেলেছে। যেমন সামি, ঋদ্ধিমান, ইশান্ত। ওরা অভিজ্ঞতা বাকিদের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে পারবে।
প্রশ্ন: পিচ ও শিশির কতটা ফ্যাক্টর হবে?
অরিন্দম: আমাদের সময় খেলাটা হয়েছিল বর্ষার সময়। তাই শিশির সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি। এই বল যেহেতু স্কিড করে, তাই শিশির পড়লে সমস্যা হবে। উইকেটে ঘাস থাকবে বলে মনে হয়। আমাদের ম্যাচেও এমন উইকেট ছিল। যদিও পরে একটু একটু করে ঘাস ছাঁটা হয়েছিল। তাই ম্যাচ যত গড়িয়েছে। ব্যাট করতে সুবিধা হয়েছে। এখন তো ইডেনের উইকেট ভালো। আর যেখানে দাদা আছে, সেখানে চিন্তা কীসের!