কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ডুরান্ড কাপ খেলার মধ্যেই কাশ্মীরের অবস্থা সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। হঠাৎই শ্রীনগর সহ গোটা উপত্যকায় সেনা বাহিনীর জওয়ানের সংখ্যা বাড়ানো হয়। তারপর কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে। কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তারপরেই স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা কাশ্মীর। ডুরান্ড সেমি-ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর দল নিয়ে মহা সমস্যায় পড়েন রিয়াল কাশ্মীরের মালিক সন্দীপ ছাত্তু এবং শামিম মেহরাজ। কাশ্মীরে তখন ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। রাস্তাঘাট শুনশান। তাই ডুরান্ডের পর বাধ্য হয়ে তিনি দলটি পাঠিয়ে দেন নভি মুম্বইয়ে। সেখানে দুই সপ্তাহ ফুটবলাররা প্র্যাকটিস করেন কোচ ডেভিড বরার্টসনের তত্ত্বাবধানে।
সেপ্টেম্বরে আইএসএলের বিভিন্ন দলের অনুশীলন চলছিল। সন্দীপ ও সেলিম বিভিন্ন দলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। মুম্বই সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে খেলার পর রিয়াল কাশ্মীর যাযাবরের মতো গোটা ভারতে ঘুরে এফসি গোয়া, চেন্নাই সিটি এফসি, হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। এছাড়া কোনও উপায় ছিল না। কারণ, তখন কাশ্মীরের প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রী নজরবন্দি। এমনকী মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ। ওই সময়ে ফেডারেশনের অন্দরমহলে গুঞ্জন ওঠে, রিয়াল কাশ্মীর হোম ম্যাচ খেলবে দিল্লিতেই। কিন্তু দল মালিক সন্দীপ ছাত্তু এই গুঞ্জনের জন্যই ১০ অক্টোবর দলটিকে ফিরিয়ে নিয়ে যান কাশ্মীরে। ওই পর্বে প্রথম দশদিন ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ ছিল। তাই রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে তিনি একটি মোবাইল ফোন দেন টিম হোটেলে। চালু করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। রিয়াল কাশ্মীর দলে ভিনরাজ্যের এক ঝাঁক ফুটবলারের পাশাপাশি স্কটল্যান্ড, নাইজেরিয়া, জাম্বিয়ার খেলোয়াড় আছেন। এছাড়া বাংলা থেকে ওই দলে আছেন ঋত্বিক দাস। তিন বছর আগে আরেক বাঙালি ফুটবলার সুমন দত্ত তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন রিয়াল কাশ্মীর খেলত দ্বিতীয় ডিভিসনে। ঋত্বিক আসানসোলের ছেলে। তিনি বলছিলেন, ‘গত তিন বছর এই দলে থেকে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে চলতি মরশুমের অভিজ্ঞতা একেবারে অন্যরকম।’