ইন্দোর, ১৬ নভেম্বর: শনিবার বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিং করার সময়ে গোটা দিন আগ্রাসী ছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বাংলাদেশের উইকেট পড়লেই তাঁকে দেখা গিয়েছে সহ খেলোয়াড়দের দিকে ছুটে গিয়ে অভিনন্দন জানাতে। ইন্দোরে ব্যাটে রান না পেলেও শেষ পর্যন্ত দারুণ অধিনায়কত্ব করলেন তিনি। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ব্যাট করার সময়ে তাঁকে প্যাভেলিয়ানের বারান্দা থেকে বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করছিলেন বিরাট। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘ইন্দোর টেস্টে দলের পেসাররা রেখেছেন ‘স্বপ্নের অবদান।’ বাংলাদেশের ২০টি উইকেটের মধ্যে পেসাররা নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। আর দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন সম্মিলিতভাবে পেয়েছে পাঁচটি উইকেট। এতদিন বলা হতো দেশে ভারতকে স্পিনাররাই জিতিয়ে থাকে। ইদানীং সেই ধারণাটি বদলে দিতে পেরেছি আমরা। এই মুহূর্তে ভারতের পেসাররা যে কোনও কন্ডিশনে জ্বলে উঠতে তৈরি। যে কোনও সারফেসে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা এখন আমাদের আছে। বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানে হারানোটা বেশ কৃতিত্বের। ইদানীং ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালোই খেলছে। ছেলেদের নিয়ে আমি গর্বিত। জশপ্রীত বুমরা এখন চোটের জন্য দলের বাইরে। সে ফিরলে আমাদের পেস অ্যাটাক অনেক বেড়ে যাবে। আমরা পাঁচজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেছি। এই ছকে একজন বা দুই জনকে বড় রান করতে হয়। এখানে আমি এবং রহিত রান পাইনি, কিন্তু রাহানে আর মায়াঙ্ক ইনিংসকে টেনে নিয়ে গিয়েছে চমৎকারভাবে।’
বিরাট বলেছেন, ‘আমরা খেলার সময়ে রেকর্ডের কথা মনে রাখি না। তবে এখন আমাদের দলের যা পারফরম্যান্স তাতে এই শতাব্দীর গোড়ায় রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার কথা মনে করাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি দেশের ক্রিকেটের মানকে আরও উপরে তুলে ধরতে। সেই জন্য নতুন খেলোয়াড়দের আমরা তুলে আনতে চাইছি। এতে সাফল্য পেয়েছি।’
মায়াঙ্ক প্রসঙ্গে বিরাট কোহলি বলেছেন, ‘ওর মাইন্ডসেট দারুণ। একজন তরুণ ক্রিকেটার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেই মানিয়ে নিয়েছে। নতুন ব্যাটসম্যান দলে এলে খুঁটিনাটি ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করে সিনিয়ররা। আমাকেও সিনিয়র ক্রিকেটাররা সাহায্য করেছিলেন। একই ভাবে মায়াঙ্ককে তৈরি করছি আমরা।’
আগামী সপ্তাহে ইডেনে ভারত প্রথম দিন রাতের টেস্ট খেলবে। খেলা হবে গোলাপি বলে। এই ব্যাপারে ভারত অধিনায়ক বলেন,‘আমরা ইডেন টেস্ট নিয়ে প্রচণ্ড উত্তেজিত। এমনিতেই ইডেন বিশ্বের অন্যতম সেরা মাঠ। ওখানকার পরিবেশই আলাদা। পিঙ্ক বল ব্যাটসম্যান ও বোলার দুই জনের কা঩ছেই চ্যালেঞ্জের। কারণ নতুন ধরনের বলে ভালো খেলা ব্যাটসম্যানদের কাছে খুব সহজ হবে না। আবার পুরানো গোলাপি বল সেইভাবে স্যুইং করে না। তাই বোলারদের কাছেও পাল্টা চ্যালেঞ্জ। আমাদের কয়েকজনের গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে দেশের হয়ে প্রথম দিন রাতের টেস্ট খেলছি আমরা। তাই ছেলেরা ইতিহাসে ঢুকতে পেরে গর্বিত।’