কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
ঘরের মাঠে দুর্বল লিথুয়ানিয়াকে বড় ব্যবধানে হারাবে পর্তুগাল, এই আশা নিয়েই গ্যালারি ভরিয়েছিলেন ফুটবল অনুরাগীরা। তাঁদের হতাশ করেনি ফার্নান্দো স্যান্টোসের দল। শুরু থেকে চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরে পর্তুগাল। তবে এটাও সত্যি. রোনাল্ডো-বার্নাডো সিলভাদের রোখার রসদ ছিল না প্রতিপক্ষের। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ রোনাল্ডোর (১-০)। এরপর যতই ম্যাচ গড়িয়েছে ততই আধিপত্য বেড়েছে পিজ্জিদের। মূলত ক্ষুরধার উইং প্লে’র মাধ্যমেই লিথুয়ানিয়ার রক্ষণ ভেঙেছে স্যান্টোস-ব্রিগেড। ২২ মিনিটে পেসিন্সিয়ার পাস পেয়ে বক্সের সামান্য বাইরে থেকেই ঝলসে ওঠে সিআরসেভেনে ডান পা। ইনস্টেপের ইনসাইড দিয়ে মারা তাঁর শট বিপক্ষ গোলরক্ষকের হাতের নাগাল এড়িয়ে জালে আশ্রয় নেয় (২-০)। ফরোয়ার্ডরা প্রাপ্ত সুযোগ নষ্ট না করলে বিরতির আগে আরও দু’টি গোল পেতে পারত পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের গতিপ্রকৃতিতে তেমন রদবদল হয়নি। রোনাল্ডোদের সামলাতে দশজনে মিলে রক্ষণ সামলাতে দেখা গিয়েছে লিথুয়ানিয়াকে। ৫২ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল পিজ্জির (৩-০)। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। এর রেশ কাটার আগেই ব্যবধান আরও বাড়ায় পর্তুগাল। ডান দিক থেকে আসা বল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি লিথুয়ানিয়া রক্ষণ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যভেদ পেসিন্সিয়ার (৪-০)। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন বার্নাডো সিলভারা। বক্সের কাছাকাছি পৌঁছে একাধিক পাস খেলে তাঁরা নাভিশ্বাস তুলে দেন বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। ৬৩ মিনিটে দলের পঞ্চম গোলটি বার্নাডো সিলভার (৫-০)। দু’মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন সিআরসেভেন। বার্নাডো সিলভার পাস পেয়ে ঠান্ডা মাথায় জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি পর্তুগিজ মহাতারকাটির (৬-০)।
ম্যাচের পর পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস বলেন, ‘গ্রুপের শেষ ম্যাচের আগে এই জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৭ নভেম্বর যে কোনও মূল্যে লুক্সেমবার্গকে হারিয়ে ইউরো কাপের মূলপর্বে পৌঁছানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এদিন রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিক বাকিদের মতো আমাকেও স্বস্তি দিয়েছে।’