শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
২০০১ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের কথা এখনও দিনের আলোর মতো স্পষ্ট মনে আছে গিলির। সেবারই টেস্ট ক্রিকেটে অশ্বমেধের ঘোড়া রুখে দিয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া। সিরিজের প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জিতলেও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি স্টিভ ওয়া-ব্রিগেড। পরের দু’টি টেস্টে জয় তুলে নিয়ে শেষ হাসি হেসেছিল ভারত। আর এর অন্যতম কারিগর ছিলেন ভাজ্জি। তিনটি টেস্টে ৩২টি উইকেট তুলে নিয়ে সিরিজের সেরা হয়েছিলেন পাঞ্জাবি অফ-স্পিনারটি। সেই প্রসঙ্গে গিলক্রিস্ট জানিয়েছেন, ‘প্রথম টেস্টে ৯৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমি ক্রিজে যাই। হাঁকাই শতরানও। তিনদিনে ওই ম্যাচ জিতেছিলাম আমরা। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়ার পর মনে হয়েছিল, সিরিজ জেতা স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কিন্তু কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় টেস্টেই সেই ভুল ভাঙে। হরভজনের দুরন্ত বোলিং কল্পনার স্বর্গরাজ্য থেকে আমাদের নামিয়ে এনেছিল বাস্তবের কঠিন মাটিতে। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়েই আমরা সেই সময় একের পর এক টেস্ট ম্যাচ জিতেছিলাম। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে সেই স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন ছিল। হরভজনের অনবদ্য বোলিং অস্ট্রেলিয়াকে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।’ উল্লেখ্য, ইডেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে গিলক্রিস্টকে প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছিলেন ভাজ্জি। দ্বিতীয় ইনিংসে শচীন তেন্ডুলকরের বলে আউট হন অস্ট্রেলিয়ান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানটি। এই ম্যাচে দুই ইনিংসেই তিনি রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন।
২০০৪ সালে চেন্নাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে খেলা দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ রানের ইনিংসটিকে অন্যতম সেরা বলে মনে করেন গিলক্রিস্ট। স্মৃতিচারণায় তাঁর মন্তব্য, ‘তিন নম্বরে নেমে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছিলাম। তবে সেই ম্যাচ ড্র হয়েছিল।’