কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির উদ্যোগে এই প্রথমবার দিন-রাতের টেস্ট হবে ভারতে। ঘরোয়া ক্রিকেটের বেশ কিছু ম্যাচে কোকাবুরা গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে একাধিক ক্রিকেটারের। কিন্তু ইডেনে ব্যবহৃত হবে এসজি গোলাপি বল। কেমন আচরণ করতে পারে এই নতুন অতিথি? অজিঙ্কা রাহানের বিশ্লেষণ, ‘আমরা দু’টি প্র্যাকটিস সেশনে নতুন বলের সঙ্গে পরিচিত হলাম। লাল বলের থেকে গোলাপি বলে কিছুটা হলেও বেশি মুভমেন্ট রয়েছে। তাই স্যুইং ভাঙার পর তার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। চেষ্টা করছি, শরীরের থেকে বলের দূরত্ব না রাখতে। কোনও সমস্যা হলে তা কাটিয়ে দেওয়ার জন্য রাহুল ভাই (দ্রাবিড়) রয়েছেন।’
দলীপ ট্রফিতে গোলাপি বল ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু স্পিনারদের অভিযোগ, এই বলে তাঁদের হাত ঘোরাতে সমস্যা হচ্ছে। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে রাহানে বলেন, ‘আমার মনে হয়, কোকাবুরা গোলাপি বলে দলীপ ট্রফির ম্যাচগুলি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেনে খেলতে হবে এসজি গোলাপি বলে। দু’টি বলের মধ্যে নিশ্চয় পার্থক্য রয়েছে। বেঙ্গালুরুতে অনুশীলন চলাকালীন আমি স্পিনারদেরও মোকাবিলা করেছি। বল তো ভালোই ঘুরছিল। অনেকের কাছেই আমি শুনেছি, কোকাবুরা বলে খেলা সহজ। এখানে এসজি গোলাপি বল খেলে দেখলাম, পেসাররা অবশ্যই বাড়তি সুবিধা পাবে। স্পিনারদের এই বল কতটা সাহায্য করবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আরও কয়েকটি প্র্যাকটিস সেশন হলে কিছুটা ধারণা করা যাবে। আর ব্যাটসম্যান হিসেবে বলছি, গোলাপি বলে খেলার জন্য সবচেয়ে প্রথমে প্রয়োজন ইতিবাচক মানসিকতার। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী টেকনিকে অদলবদল ঘটাতে তো হবেই। আশা করি, ইডেন টেস্টের আগে কলকাতায় দু’টি প্র্যাকটিস সেশন নিশ্চয়ই পাব। তাহলেই সবাই নতুন বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস। দেখুন, এখন ক্রিকেটের তিন ধরনের ফরম্যাটের সঙ্গে খেলোয়াড়দের মানিয়ে নিতে হচ্ছে। তাই এসজি গোলাপি বলের সঙ্গেও আমাদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। পুরোটাই মাইন্ডসেট।’