পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বোর্ডের নতুন সংবিধানে বলা হয়েছে, একজন পদাধিকারী রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও বোর্ড মিলিয়ে যে কোনও পদে টানা ছ’বছর থাকলে, তিন বছরের জন্য তাঁকে কুলিং অফে যেতে হবে। সৌরভ সিএবি’র সচিব ও সভাপতি পদে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে বসেছেন। তাই সৌরভ দশ মাসের বেশি বোর্ড সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না। একই নিয়মে সচিব জয় শাহকেও পদ ছাড়তে হবে আগামী জুলাইয়ে। কিন্তু বোর্ডের অধিকাংশ সদস্যই আপাতত সৌরভ-জয় জুটিকে হাতছাড়া করতে চান না। বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘গত তিন বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিসিসিআই চালিয়েছেন বিনোদ রাইরা। আমাদের কোনও কথাই শোনা হয়নি। জরুরি অবস্থা চলছিল। সেখান থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের গরিমা ফেরানোর জন্যই আমরা সর্বসম্মতিক্রমেই সৌরভ গাঙ্গুলিকে বোর্ড সভাপতি করেছি। উনি ভালো কাজ করছেন। তবে দশ মাস সময় খুব কম। আমরা চাই সৌরভ সভাপতি পদে পুরো মেয়াদ পূর্ণ করুন। তাতে আখেরে লাভ হবে ভারতীয় ক্রিকেটই। তার জন্য আমরা সংবিধান সংশোধন করার প্রস্তাব রাখছি।’
বোর্ডের সংবিধান সংশোধন হলে, সৌরভ গাঙ্গুলি সভাপতি পদে পুরো মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেন। কারণ, প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বোর্ড সভাপতি ও সচিব পদে টানা দু’টি টার্ম থাকার নিয়ম চালু হোক। তারপর কুলিং অফ শুরু হবে। একটা টার্ম মানে তিন বছর। সেক্ষেত্রে প্রস্তাব মেনে সংবিধান সংশোধন হলে সৌরভ শুধু তিন নয়, ছ’বছর এই পদে থাকতে পারবেন। কারণ, দু’টি টার্মের মেয়াদ ছ’বছরই। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে সচিব পদের ক্ষেত্রে। কুলিং অফে গেলে অবশ্য সভাপতি বা সচিব আর কোনও পদে বসতে কিংবা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নিয়ম অনুযায়ী, সংবিধান সংশোধনের জন্য তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের সমর্থন লাগে। সেটা জোগাড় করতে সৌরভ-জয় জুটির সমস্যা হবে না। তবে এজিএমে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব গৃহীত হলেও, তা লাঘু করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে অনুমতি লাগবে। ক্রিকেট মহলের ধারণা, দেশের সর্বোচ্চ আদালত হয়তো ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে নতুন প্রস্তাব মেনেও নিতে পারে। আগামী ১ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ৮৮তম বার্ষিক সাধারণ সভাতেই হয়তো সৌরভ গাঙ্গুলি, জয় শাহদের ভবিষ্যৎ ঠিক হবে। তাই এজিএম ঘিরে আগ্রহ তৈরি হয়েছে ক্রিকেট দুনিয়ার।