পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বড় ইনিংস খেলতে না পারার আক্ষেপটা রাজকোটে সুদে আসলে মিটিয়েছেন রহিত শর্মা। তাঁর ৪৩ বলে ৮৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। নাগপুরেও দুই দলের মধ্যে ফারাক গড়ে দিতে পারেন রহিত। আগের ম্যাচের মতো শেষ ম্যাচেও ভারত অধিনায়ক জ্বলে উঠলে শেষ হয়ে যেতে পারে ভারতের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহদের প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের আশা। কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো সেটা বিলক্ষণ জানেন। তবু নিজের খেলোয়াড়দের উপর আস্থা হারাতে নারাজ বাংলাদেশের প্রোটিয়া কোচটি। তাই প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন না আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ডোমিঙ্গোর কথায়, ‘কেউ আমাদের বিপক্ষে খুব ভালো খেলে বলে স্রেফ তার জন্য নিজের দলে পরিবর্তন আনতে হবে, এমনটা মনে করি না। আবার কেউ খারাপ খেলছে বলে তাকে ছয় মাস বাইরে রেখে দিতে হবে, এমন দর্শনেও আমি বিশ্বাসী নই। টি-টোয়েন্টিতে এমনটা হতেই পারে। আমার বিশ্বাস, যারা শেষ দুটি ম্যাচে খেলেছে, তরুণ হলেও তারা যথেষ্ট দক্ষ ক্রিকেটার।’
সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সংখ্যা বেশি। দিল্লিতে প্রথম ম্যাচে তাদের বিপক্ষে আমাদের দুই অফ-স্পিনার আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন খুবই ভালো বোলিং করেছিল। কিন্তু রাজকোটে ওরা সুবিধা করতে পারেনি। তার জন্য সবকিছু বদলে ফেলার কোনও মানে হয় না। আমরা এমন দল হতে চাই না, যারা একটা ম্যাচে হারের পর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া দেখায়।’ রাজকোটে হতাশ করেন বাংলাদেশের তিন পেসারও। তবে তা নিয়ে চিন্তিত নন ডোমিঙ্গো। তাঁর কথায়, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো বল করেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে একজন ভালো খেলোয়াড়ের (রহিত) বিপক্ষে ওদের শিশির ভেজা বলে বোলিং করতে হয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে। তাই পেস বোলিং নিয়ে কোনও রকম দুশ্চিন্তার কারণ নেই।’ বরং নিজের তরুণ ব্রিগেডকে নিয়েই সিরিজ জয়ের আশায় বুক বাঁধছেন ডোমিঙ্গো। তিনি বলেন, ‘মানছি, আমার দলের বোলারদের অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। তবে আমরা যদি ভালো ব্যাটিং করতে পারি ও ম্যাচে সেরাটা উজাড় করে দিতে পারি, তবে প্রতিপক্ষ বোলাররা চাপে পড়ে যাবে। তখন সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকবে আমাদের সামনেও।’