ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
(রডরিগো-হ্যাটট্রিক, র্যামোস, বেনজেমা-২)
মাদ্রিদ, ৭ নভেম্বর: বয়স মাত্র ১৮। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাঁকে ‘নতুন নেইমার’ বলে ডাকা হচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদের ‘বি’ দলে খেলার সময়েই জিনেদিন জিদানের চোখে পড়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারটি। সিনিয়র দলে সুযোগও মিলল দ্রুত। বুধবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুরন্ত হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে রডরিগো সিলভা দ্য গোয়েস বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর উপর আস্থা রাখা যায়। ১৮ বছর ৩০১ দিনের মাথায় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই কৃতিত্ব অর্জন করে তিনি পিছনে ফেললেন ওয়েন রুনিকে। এই প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকারটি হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছিলেন ১৮ বছর ৩৪০ দিন বয়সে। তবে এই ব্যাপারে সবার আগে রয়েছেন রাউল। তিনি ১৮ বছর ১৩৩ দিনের মাথায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। অর্থাৎ, দ্বিতীয় কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের গৌরব এখন রডরিগোর কাছে। তাঁর এবং করিম বেনজেমার দুরন্ত বোঝাপড়ায় ঘরের মাঠে গালাতাসারেকে উড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। চার ম্যাচে সাত পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ-এ’র দ্বিতীয় স্থানে জিদান-ব্রিগেড। শীর্ষে থাকা প্যারি সাঁজাঁ সমসংখ্যক ম্যাচে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে প্রতিযোগিতার নক-আউট পর্বে এই দু’টি দল যাচ্ছেই।
লা লিগার গত ম্যাচে রিয়াল বেতিসের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। তবে সেই হতাশা কাটিয়ে উঠে বুধবার দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরলেন করিম বেনজেমা-টনি ক্রুজরা। শুরু থেকে তাঁদের পরিকল্পিত আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে থই খুঁজে পায়নি তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারে। রিয়ালের প্রথম দু’টি গোল এসেছে ব্রাজিলিয়ান কানেকশনে। চতুর্থ মিনিটে মার্সেলোর পাস নিয়ন্ত্রণে এনে নিখুঁত শটে জাল কাঁপান রডরিগো (১-০)। মিনিট তিনেক পরে ব্রাজিলিয়ান উইং ব্যাকটির ঠিকানা লেখা সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান বাড়ান তিনি (২-০)। প্রারম্ভিক পর্বে দু’গোল হজম করে গালাতাসারে খেলা থেকে হারিয়ে যায়। ১৪ মিনিটে স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে সফল সের্গিও র্যামোস (৩-০)। উল্লেখ্য, বক্সের মধ্যে টনি ক্রুজকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। এরপর একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে গালাতাসারে বক্সে। করিম বেনজেমা এবং রডরিগোর বোঝাপড়া রোখার রসদ ছিল না প্রতিপক্ষের। ৩৯ মিনিটে ক্রুজের ফ্রি-কিক থেকে কাসেমিরো গোল করলেও তা অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়। বিরতির আগে ডানদিক থেকে রডরিগোর বাড়ানো বল গোলে ঠেলে দিতে ভুল হয়নি করিম বেনজেমার (৪-০)।
প্রথমার্ধেই জয় কার্যত নিশ্চিত করে ফেলায় বিরতির পর পজেশনাল ফুটবলেই ব্যস্ত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রক্ষণে ভিড় বাড়িয়ে বিপক্ষ আক্রমণ রোখাই ছিল এই পর্বে গালাতাসারের কাজ। ইডেন হ্যাজার্ডের পরিবর্তে নামা ইসকো দু’টি গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। ৮১ মিনিটে কার্ভাহালের পাস থেকে দলের পঞ্চমটি গোল করেন বেনজেমা (৫-০)। সংযোজিত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বেনজেমার বুদ্ধিদীপ্ত পাসে পেলব ছোঁয়া লাগিয়ে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ হয় রডরিগোর (৬-০)।