সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
মঙ্গলবার ৩১ বছরে পা রাখলেন কোহলি। জন্মদিনে ভারত অধিনায়কের জন্য দুনিয়ার নানা প্রান্ত থেকে ভেসে এসেছে শুভেচ্ছা বার্তা। রহিত শর্মা, রবি শাস্ত্রী, বীরেন্দ্র সেওয়াগ থেকে শুরু করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ, কিংবা সাধারণ সমর্থকরা ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে। সাদিও মানে, রায়ান গিগস, রিয়াধ মাহরেজ, বার্নাডো সিলভার মতো ফুটবলারদের ভালোবাসা ও অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে জন্মদিনের সেরা উপহারটি বোধহয় কোহলি নিজেই দিয়েছেন নিজেকে! সাতসকালে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ট্যুইট করেন কোহলি। তাতে লিঙ্ক করা রয়েছে হাতে লেখা একটি চিঠির দু’টি পাতা। ক্যাপশনে ‘ভিকে’ লিখেছেন, ‘১৫ বছর বয়সী আমাকে নিজের জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষার ব্যাখ্যা। সাধ্যমতো চেষ্টা করে লিখেছি। পড়ে দেখতে পারেন।’ কোহলি কী লিখেছেন সেই চিঠিতে? দেখে নেওয়া যাক:
‘হাই চিকু,
সবার আগে জানাই শুভ জন্মদিন। আমি জানি, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার কাছে অনেক প্রশ্ন রয়েছে তোমার। কিন্তু সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না বলে দুঃখিত। আর সেই না পারার কারণ আমরা জানি না বলেই দোকানের মিষ্টিগুলো বিস্ময়কর হয়। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনি প্রত্যেক হতাশা থেকেই শেখার সুযোগ থাকে। তুমি এখন এসব বুঝবে না। তবে জীবনে সামনের লক্ষ্যের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কীভাবে বর্তমান সময়টা অতিবাহিত করছ সেটা। আমার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত দুর্দান্তই কাটছে।
জেনে রাখো, জীবন তোমার জন্য বড় উপহারই সাজিয়ে রেখেছে। তবে তা পাওয়ার জন্য প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর প্রস্তুতি থাকাটা জরুরি। সুযোগ এলে তা লুফে নাও। তবে যেসব জিনিস পাওয়া নিশ্চিত তার জন্য আলাদা করে চেষ্টা কর না। ব্যর্থ হবে। সবাই তাই হয়। শুধু সংকল্প কর, উঠে দাঁড়ানোর বিশ্বাস যেন কখনও না হারায়। শুরুতে যদি নাও পার ক্ষতি নেই, তাহলে আবার চেষ্টা কর। অনেকে তোমাকে পছন্দ করবে, আবার অপছন্দও করবে অনেকে। তাদের মধ্যে অনেকেই তোমাকে জানে না। তাই তাদের নিয়ে বেশি ভেবো না। শুধু নিজের ওপর বিশ্বাস রাখ।
বাবা আজ তোমাকে নতুন জুতো উপহার না দেওয়ায় তোমার মনের অবস্থাটা আমি জানি। কিন্তু আজ সকালে যে আদর তিনি তোমাকে করেছেন, কিংবা তোমার উচ্চতা নিয়ে তাঁর রসিকতার কাছে এসব কিছুই নয়। তাই মন খারাপ কর না। আমি জানি, কিছু সময় তাঁকে বেশ কঠোর মনে হয়। কারণ তিনি সব সময় চান তোমার ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনতে। তোমার মনে হতেই পারে যে, এমন কিছু সময় আছে যখন বাবা-মা আমাদের বুঝতে পারে না। কিন্তু একটা কথা মনে রেখো- শুধু পরিবারই তোমাকে স্বার্থহীন ভাবে ভালোবাসে। তাঁদেরও তুমি ভালোবাসা ফিরিয়ে দাও, সম্মান কর এবং যত বেশি সম্ভব তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাও। বাবাকে বল যে, তুমি তাঁকে অনেক ভালোবাসো। আজ বল, আগামীকাল বল, যত বেশি সম্ভব এই কথাটা বলে যাও।
সব শেষে বলব, শুধু নিজের হৃদয়ের কথা অনুসরণ করে চল। স্বপ্নকে তাড়া কর। দয়ালু হও। বিশ্বকে দেখিয়ে দাও যে, বড় স্বপ্ন দেখাটা কীভাবে পার্থক্য গড়ে দেয়। নিজের মতো হও। আর হ্যাঁ... যত পারো পরোটা খেয়ে যাও। সামনের দিনগুলোতে এসব তোমার কাছে বিলাসিতা হয়ে উঠবে।
তোমার প্রতিটি দিন সুন্দর হোক!’
বিরাট।