ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
প্রথমে ব্যাট করে রহিত শর্মার ভারত ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে। তার জবাবে তিন বল বাকি থাকতেই মাত্র তিন উইকেটের বিনিময়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করে ক্রুনাল পান্ডিয়া ম্যাচটি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেন। ১৯তম ওভারে খলিল আমেদ ১৮ রান দিয়ে যাবতীয় আশায় জল ঢেলে দেন।
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী দিল্লিতে দূষণের মাত্রা হু-হু করে বেড়েছে। যার জেরে পরিবেশবিদ, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ভারত-বাংলাদেশ টি-২০ ম্যাচ দিল্লিকে থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তবে চাপের মুখে মাথা নত করেননি বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। কিউরেটরের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘নির্ধারিত সূচি মেনেই প্রথম টি-২০ ম্যাচটি দিল্লিতেই হবে।’ শেষ পর্যন্ত উদ্বেগ ও ধোঁয়াশা কাটিয়ে ম্যাচ শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন মহারাজও। বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর জমানায় ভারতের প্রথম ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার বোঝা তো আর বইতে হবে না প্রিন্স অব ক্যালকাটাকে!
পরিবেশ নিয়ে যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ম্যাচে ততটা প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েনি। দুই দলের ক্রিকেটাররা স্বচ্ছন্দে খেলেছেন। কেউ মাস্ক পরেও মাঠে নামেননি। দূষণের নাগপাশ থেকে দিল্লির ক্রিকেটপ্রেমীরা স্বস্তি পেলেও ঘরের মাঠে ভারতের হার তাঁরা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। তা সত্ত্বেও ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমের তারিফ শোনা যায় অনেকের মুখে। বাংলাদেশের জয় সত্ত্বেও রবিবারের ভিড়ে ঠাসা গ্যালারি প্রমাণ করল, ক্রিকেট যুদ্ধে ম্যাচের সেরা দর্শকই।