কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে সিরিজে স্কোয়াডে থাকলেও প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি রহিত। অজিঙ্কা রাহানে এবং হনুমা বিহারি রান পাওয়ায় মিডল অর্ডারে তাঁর স্থান করে নেওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে। ওই সফরে লোকেশ রাহুল ব্যর্থ হওয়ায় ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওপেনার হিসেবে রহিতকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ইন্ডিয়ার থিঙ্কট্যাঙ্ক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতায় পুষ্ট স্টাইলিশ ব্যাটসম্যানটি জানতেন, এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে টেস্ট টিমে তিনি ব্রাত্যই থেকে যাবেন। পাহাড়প্রমাণ চাপ নিয়ে রাবাডা-এনগিডিদের বিরুদ্ধে নেমে সহজাত ভঙ্গিমায় ব্যাট করেই একাধিক বড় রানের ইনিংস খেলেছেন রহিত। মঙ্গলবার রাঁচিটে প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করার পর তিনি বলেন, ‘কোচ এবং ক্যাপ্টেনের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি। ওপেনিং স্লটে সুযোগ পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই টিম ম্যানেজমেন্টকেও।’ উল্লেখ্য, এই মন্তব্যের মাধ্যামে দিয়েই রহিত জল ঢেলে দিয়েছেন তাঁর এবং বিরাট কোহলির মধ্যে তৈরি করা দ্বন্দ্বে।
এদিন রহিত জানান, ‘২০১৩ সালে আমি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে প্রথম ওপেন করি। ক্রমশ বুঝতে শিখি যে, প্রারম্ভিক ওভারগুলিতে আরও শৃঙ্খলার প্রয়োজন। উইকেটে দীর্ঘক্ষণ থাকার রসদ আমার রয়েছে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সফল হতে পেরেছি। ব্যাট হাতে ক্রিজে যাওয়ার সময় একটাই কথা নিজেকে বলতাম, সামান্য ভুল করলেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হবে। তাই কোনও ভুল করা চলবে না। নতুন বলে মারমুখী ইনিংস খেলা সহজ নয়। তাই অপেক্ষা করেছি। বল একটু পুরানো হলেই উইকেটের চারদিকে শট নিয়েছি। এটাই সাফল্যের অন্যতম কারণ।’
রহিত শর্মার এই সাফল্যে গর্বিত ক্যাপ্টেন কোহলিও। তাঁর মন্তব্য, ‘উদ্বেগ এবং দ্বিধাদন্দ্ব সরিয়ে ব্যাট করতে পেরেছে বলেই রহিত সফল। সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ওর। বিপক্ষ বোলারদের বিন্দুমাত্র সমীহ না করে রানের খিদে বজায় রেখেছে রহিত। এই চোখ-ধাঁধানো পারফরম্যান্স অবশ্যই ওর আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’ এদিকে, সিরিজ শেষে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা শোনা গেল কোচ রবি শাস্ত্রীর মুখে। তিনি বলেছেন, ‘ওপেনার হিসেবে রহিতের সাফল্য আমাদের ব্যাটিংয়ের চেহারাটাই বদলে দিয়েছে। পিচের চরিত্রের দিকে না তাকিয়ে আমরা সাবলীল ব্যাটিং করেছি। মিডল অর্ডারে কোহলি, রাহানে থাকা মানে বাড়তি সুবিধা। এরসঙ্গে রহিতের মতো ক্লাস ব্যাটসম্যান যুক্ত হয়েছে। ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপকে তাই ফেরারির মতো দেখাচ্ছে। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চূর্ণ করতে পেরে আমরা খুশি। আগামীতেও এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে। শুধু ব্যাটসম্যানরা নয়, বোলাররাও প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। নবাগত নাদিম সিরাজও বেশ ভালো। ওর বোলিং দেখলে বিষেণ সিং বেদিও খুশি হতেন। ঘরের মাঠে খেলতে পারা ওকে বাড়তি সুবিধা এনে দিয়েছে।’