বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন পছন্দের ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন ভালভার্দে। আপফ্রন্টে লুই সুয়ারেজ ও আতোঁয়া গ্রিজম্যানের পাশে মেসি। মাঝমাঠ বিন্যস্ত রাখার দায়িত্ব ছিল সের্গিও বুস্কেতস, আর্থার ও ফ্রেঙ্কি ডে জংয়ের উপর। রক্ষণে সের্গি রবার্তো, জেরার্ড পিকে, ক্লেমেন্ত লেঙ্গলেট ও জর্ডি আলবা। দুর্গরক্ষায় বিশ্বস্ত মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন। ম্যাচের শুরুতে অবশ্য পরপর দু’টি আক্রমণ শানায় এইবর। প্রথম দশ মিনিট তারা চাপ রেখেছিল বার্সেলোনার উপর। তবে ১৩ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে গ্রিজম্যানের গোলই ম্যাচের রং বদলে দেয়। লেঙ্গলেটের পাস ধরে আগুয়ান গোলরক্ষককে হার মানান কাতালন ক্লাবটির ফরাসি তারকা (১-০)। এরপর প্রতিপক্ষকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়নি ভালভার্দে-ব্রিগেড। মেসি-সুয়ারেজ-গ্রিজম্যানের ত্রিফলার মসৃণ বোঝাপড়া রোখার রসদ ছিল না এইবরের কাছে। ৩১ মিনিটে মেসির প্রয়াস রুখে দেন বিপক্ষ গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও তিন পয়েন্ট তোলার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল বার্সেলোনা।
বিরতির পর আক্রমণের চাপ বাড়ান মেসিরা। ৫০ মিনিটে মেসির সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে সুয়ারেজ লক্ষ্যভেদ করলেও তা অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়। তবে দ্বিতীয় গোলের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সাকে। মিনিট আটেক পরেই সুয়ারেজ এবং গ্রিজম্যান মারফত বল পেয়ে জালে ঠেলতে ভুল হয়নি মেসির (২-০)। ৬৬ মিনিটে দলের তৃতীয় গোলটিও তিন অ্যাটাকারের বোঝাপড়ার ফসল। গ্রিজম্যানের অনবদ্য থ্রু ধরে মেসি পৌঁছে যান এইবর বক্সে। সামনে অসহায় গোলরক্ষককে পেয়েও তিনি বল বাড়িয়ে দেন অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা সুয়ারেজের দিকে। বলা বাহুল্য, ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে অসুবিধা হয়নি উরুগুয়ান তারকাটির (৩-০)। ম্যাচের শেষপর্বে পজেশনাল ফুটবল উপহার দিয়ে বিপক্ষকে ব্যবধান কমানোর সুযোগ দেয়নি বার্সেলোনা।