নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ দেখতে এসে কলকাতায় ৪৮ ঘণ্টা কাটিয়ে গিয়েছেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। কুয়ালালামপুরে মিটিং সেরেই তিনি কলকাতায় হাজির হয়েছিলেন। গত বুধবার তিনি আইএসএলে দুই প্রধানের অর্ন্তভুক্তির ব্যাপারটি নিয়ে ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর পরিকল্পনা, দুই প্রধানের মধ্যে একটি দলকে এটিকে’র সঙ্গে সংযুক্ত হতেই হবে। দু’টি ক্লাবকে একইসঙ্গে আইএসএলে নেওয়ার অর্থ, তৃতীয় ক্লাব হিসাবে এটিকে কোনও গেট সেলই পাবে না। মাঠে লোক কম হলে প্রতিযোগিতাটির ব্র্যান্ড ভ্যালু কমবে। যা নিয়ে এফএসডিএলের আপত্তি আছে।’ কুশলের এই ঝটিকা সফরের পরেই দুই প্রধানের কর্তারা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এটিকে’র সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। সংযুক্তিকরণের ব্যাপারে গত মার্চেও কথা হয়েছিল মোহন বাগান-এটিকে’র। ইস্ট বেঙ্গলের পক্ষ থেকে এটিকে’র কাছে ভাইস চেয়ারম্যান পদ চাওয়া হয়েছে। অ্যাওয়ে ম্যাচে লাল-সাদা জার্সি পড়তে কোনও অসুবিধা নেই। চেয়ারম্যানশিপ পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য তারা নামটি ইস্ট বেঙ্গল-এটিকে করতে চাইছে।
এদিকে, সলমন খানের সঙ্গে ছ’কোটির চুক্তি হয়েছে ইস্ট বেঙ্গলের। কালীপুজোর আগেই দিতে হবে তিন কোটি টাকা। সেই নিয়েই ইস্ট বেঙ্গলের ক্যাফেতে শুক্রবার মিটিং হয়। রাসবিহারীর একটি স্বর্ণ বিপণি ক্লাবকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে। এদিকে, সুব্রত নাগ জানিয়ে দিয়েছেন, সম্মানজনকভাবে ব্রেক-আপে তাঁরা রাজি। উল্লেখ্য,এটিকে’র কাছে প্রায় ৪০ শতাংশ শেয়ার দাবি করছে মোহন বাগান।
মোহন বাগানের চিঠি: শুক্রবার মোহন বাগানের পক্ষে চিঠি দিয়ে কল্যাণী স্টেডিয়ামের ইনচার্জ নীলিমেশ রায় চৌধুরিকে জানিয়ে দেওয়া হল, ১৬ নভেম্বর থেকে ৩০ এপ্রিল প্রয়োজনে তারা মাঠ ব্যবহার করতে চায়। তাই ফ্লাডলাইট সহ মাঠটি তৈরি রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে আই লিগে ১৭ নভেম্বর প্রথম ম্যাচ খেলতে পারে ইস্ট বেঙ্গল।