বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি সম্প্রতি বলেছেন, ‘ক্রিকেট কেরিয়ার দীর্ঘায়িত করতে হলে ঋদ্ধির আরও রান পাওয়া প্রয়োজন। ব্যাটিং গড় ভালো হলে ওকে বাদ দেওয়া কঠিন হবে।’ শুক্রবার এই প্রসঙ্গে লড়াকু পাপালির বিশ্লেষণ, ‘আমরা প্রত্যেকেই দলের প্রয়োজনে নিজেকে মেলে ধরতে তৈরি। সময় ও সুযোগ পেলে হাফ-সেঞ্চুরি করার চেষ্টায় থাকি। কখনও তা সফল হয়, আবার কখনও বা ব্যর্থ। কিন্তু চেষ্টায় কোনও খামতি নেই আমার। ২০১৭ সালের মার্চে রাঁচির এই স্টেডিয়ামেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমি শতরান পেয়েছিলাম।’ উল্লেখ্য, বিসিসিআই’এর সর্বোচ্চ পদে সৌরভ গাঙ্গুলি আসায় ভারতীয় ক্রিকেট লাভবান হবে বলে মন্তব্য ঋদ্ধিমানের। তাঁর বক্তব্য, ‘দাদির ক্রিকেটবোধ দুরন্ত। নিজের লড়াকু মানসিকতা বাকিদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারেন উনি। আশা করি, প্রশাসক দাদির নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতি ত্বরাণ্বিত হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি টেস্ট সহজে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। স্বাভাবিকভাবেই প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করাই এখন লক্ষ্য কোহলি-ব্রিগেডের। সেই দলের অন্যতম সৈনিক ঋদ্ধিমান এদিন বলেন, ‘তৃতীয় টেস্টেও জিততে চাই। দু’বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেছিলাম। সেই ম্যাচ অবশ্য ড্র হয়েছিল। এবার জয় ছাড়া অন্য কোনও ভাবনাকে প্রশ্রয় দিচ্ছি না।’
ফুটবলে গোলরক্ষকদের মতোই ক্রিকেটে উইকেটকিপাররা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। চারটি ভালো সেভ কিংবা ক্যাচ ধরলে প্রশংসা নেই। কিন্তু একটি ফসকালেই সমালোচনার ঝড় বইরে চারদিকে। প্রসঙ্গক্রমে ঋদ্ধির মন্তব্য, ‘থ্যাঙ্কলেস জবের সঙ্গেই আমি জড়িয়ে আছি। সবাই ভাবে, হাতে গ্লাভস রয়েছে বলে সব বলই কিপারদের ধরা উচিত। আমাদের কাজ খুব সহজ নয়। অসমান বাউন্স কিংবা ঘূর্ণি পিচ থাকলে কিপাররা সমস্যায় পড়তে বাধ্য। তখন অভিজ্ঞতা এবং পরিকল্পনার সংমিশ্রণে উইকেটরক্ষার দায়িত্ব সামলাতে হয়।’
পুনে টেস্টে উমেশ যাদবের একাধিক ডেলিভারি তাঁকে শরীর ছুঁড়ে ধরতে হয়েছে। অ্যাক্রোব্যাটিক ফিটনেস এবং রিফ্লেক্স না থাকলে যা সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে বিনয়ের সুরে ঋদ্ধি বলেন, ‘প্রত্যেকেই সেরা পারফরম্যান্স উজাড় করে দিতে চায়। উমেশ সেদিন দুরন্ত বোলিং করছিল। ওর বলে লেগ সাইডে ওঠা ক্যাচ তালুবন্দি করতে পেরে আমার ভালোই লেগেছে। ক্রিকেট টিমগেম। আমি সেভাবেই এই খেলাটিকে দেখি। দলের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে পারলে অদ্ভূত তৃপ্তি হয়।’
২০১৮ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে খেলার পর কাঁধের চোটের কারণে জাতীয় দল থেকে দূরে ছিলেন ঋদ্ধিমান। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই তিনি ফিরে এসেছেন টিম ইন্ডিয়ার মূলস্রোতে।