কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
নবদ্বীপের স্থানীয় ফুটবল লিগে প্রথম ডিভিশন, জুনিয়র এবং সাব জুনিয়র লিগের খেলা হলেও দীর্ঘ সাত বছর ধরে নানা কারণে বন্ধ ছিল দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগ। এবার নবদ্বীপ আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান পরিচালন কমিটির উদ্যোগ নিয়েছিল যাতে দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগ ফের শুরু করা যায়। সেই মতো মোট ছ’টি দল দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলতে রাজি হয়েছিল। নবদ্বীপ আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল ইনচার্জ মৈনাক দত্ত বলেন, ছ’টি দল সম্মতি দেওয়ার পর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে খেলা শুরুর ক্রীড়াসূচি তৈরি হয়। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। এর পরে হঠাৎ করে তিনটি ক্লাব নাম প্রত্যাহার করে নেয়। অবশিষ্ট তিনটি দল নিয়ে লিগ চালানো সম্ভব নয় বলে দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ বাতিল ঘোষণা করা হয়। ওই তিন ক্লাবকে শোকজও করা হয়েছিল।
নবদ্বীপ আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক জয়ন্ত গোস্বামী বলেন, সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এটি করা হয়েছে। তাই সংস্থার সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, ওই তিন ক্লাবের মধ্যে নবদ্বীপ নিউ স্টার ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে জানানো হবে। প্রফুল্লনগর যুব সংঘকে শোকজের চিঠি দেওয়া হলেও তারা কোনও উত্তর দেয়নি। ওই ক্লাবকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড এবং ৫০০ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া নবদ্বীপ বর্ণালি সংঘের তিন হাজার টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্ণালি সংঘের সভাপতি অনাথবন্ধু নন্দী জানান, আমরা এখনও কোনও চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে ক্লাবের সকলের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। প্রফুল্লনগর যুব সঙ্ঘের সদস্য শঙ্কর হাজরা বলেন, আমাদের ক্লাব সম্পাদক সঞ্জয় দাস অসুস্থ থাকায় তাঁকে নিয়ে ক্লাবের সদস্যরা ব্যস্ত আছেন। ফলে শোকজের চিঠির উত্তর দিতে পারিনি। আমরা ১৬ অক্টোবর ক্রীড়া সংস্থার কাছে দুঃখপ্রকাশ করে শাস্তি মকুবের আবেদন জানিয়েছি। নিউ স্টার ক্লাবের সম্পাদক সুনীত মুখোপাধ্যায় বলেন, এখনও কোনও চিঠি পাইনি।