গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মঙ্গলবার রাতে নিউটাউনের টিম হোটেলে প্রবেশের পরই ফুটবলারদের জাতীয় শিবির থেকে ছুটি দেন কোচ ইগর স্টিম্যাচ। ফুটবলাররা যে যাঁর বাড়ি চলে যান বুধবার সকালেই। গুরপ্রীত, সুনীল বেঙ্গালুরু গেলেন। জাতীয় দলের তিন বাঙালি প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসু ও সার্থক গোলুই হোটেল থেকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাড়িতে রওনা দেন। তার আগে ভারতীয় শিবিরে একটাই আলোচনা শোনা গিয়েছে। কলকাতার ফুটবল প্রেম। ভারতীয় দলের প্রায় সব সদস্যই একবাক্যে মেনে নিয়েছেন, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সবচেয়ে আদর্শ জায়গা সল্টলেক স্টেডিয়ামই। এআইএফএফ সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত আইএফএ’র ব্যবস্থাপনার দারুণ খুশি। উপস্থিত কাতারের রেফারি টিম, উজবেকিস্তানের ম্যাচ কমিশনার আয়োজকদের নিয়ে দারুণ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের রিপোর্টে এই ব্যাপারে উল্লেখ থাকবেই। যা পরিস্থিতি, ভবিষ্যতে সল্টলেক স্টেডিয়ামে আরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হবেই। কারণ আর্থিকভাবে যথেষ্ট লাভবান হয়েছে এআইএফএফ। যা তারা একেবারেই ভাবতে পারেনি! সবচেয়ে বড় কথা, ফেডারেশনের দেওয়া বাজেট অনুযায়ী টাকা আইএফএ ম্যাচ সংগঠনে ঠিকঠাক কাজে লাগিয়েছে। এতেই আরও বেশি সন্তুষ্ট ফেডারেশন কর্তারা। আইএফএ সচিব জয়দীপ ব্যানার্জির নেতৃত্বে তাঁর গোটা টিম দারুণ কাজ করেছে। আইএফএ’র এক কর্তা বলছিলেন, ‘ম্যাচের জন্য ফেডারেশন পাঁচ শতাংশ টিকিট দেয় আইএফএ’কে। তাছাড়া আইএফএ’র লাভ কিছুই নেই। কিন্তু ফিফার ম্যাচে ভারত তথা কলকাতার সম্মানের কথা ভেবে আমরা পুরোপুরি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে। এটাই আমাদের সন্তুষ্টি।’
বুধবার ভারত ও বাংলাদেশ শিবিরে প্রশংসা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের। দারুণ দক্ষতায় তাঁর টিম নিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য স্টেডিয়ামকে তৈরি করে দিয়েছেন। দুটি দলই কেউই মাঠে ও মাঠের বাইরে আতিথেয়তায় মুগ্ধ। বুধবার দুপুরে বাইপাসের হোটেল থেকে নির্দিষ্ট সময়ে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ টিম। তারা এদিন দু’দফায় কলকাতা ছাড়ে। বাংলাদেশ ফুটবলারদের মধ্যে ভারতের মতোই হতাশা গ্রাস করেছে। সুনীলরা যেমন মনমরা জয় না পাওয়ায়। বাংলাদেশ শিবিরে হতাশা লিড ধরে রাখা গেল না। গোটা দলের মধ্যে একটাই আলোচনা, ম্যাচের শেষলগ্নে ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকরা একটু সতর্ক থাকলে ভারত গোল করতে পারত না। ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত এতটাই মনমরা ছিলেন যে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকে কারও সঙ্গেই কথা বলেননি। বুধবার বিমানবন্দরেও তিনি অস্বাভাবিক চুপচাপ ছিলেন! তবে ভারতের স্কোরার আদিল খান বললেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোল করেছি। কিন্তু জয় তো এল না। তবে মোহন বাগানে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে।’ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ভারতের পরের খেলা ১৪ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এটি সুনীলদের অ্যাওয়ে ম্যাচ। একইদিনে ওমানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ভারতের মতো বাংলাদেশ ফুটবলারদেরও আপাতত জাতীয় শিবির থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় দলের রক্ষণ ও আক্রমণে দুর্বলতা রয়েছে। স্কোয়াডে ফিরছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রোলিন বর্জেস। রক্ষণের দুর্বলতা ঢাকতে আইএসএলে এটিকে’র স্টপার সালাম রঞ্জন সিংয়ের পারফরম্যান্সের দিকে চোখ থাকবে স্টিম্যাচের।