পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিশ্বকাপের পর থেকেই মাঠের বাইরে রয়েছেন ধোনি। সরে দাঁড়িয়েছেন একটার পর একটা সিরিজ থেকে, যা তাঁর অবসর সংক্রান্ত জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে নিজের খেলা ছাড়ার প্রসঙ্গে এদিন কোনও কথাই বলেননি মাহি। দিল্লিতে একটি বাণিজ্যিক সংস্থার প্রচার অনুষ্ঠানের ফাঁকে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক তুলে ধরলেন নিজের বর্ণময় ক্রিকেট কেরিয়ারের অন্যান্য বিষয়। জানালেন, তিনিও অন্যদের মতো আবেগতাড়িত হন। তবে অন্যদের তুলনায় তাঁর সংযমের ক্ষমতা অনেক বেশি। ধোনির কথায়, ‘আমিও আর পাঁচজনেরই মতো একজন মানুষ। তবে অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো সংবরণ করতে পারি নিজের আবেগ।’ ৩৮ বছর বয়সি ধোনি সেই সঙ্গে জানান, সমস্যায় জর্জরিত বোধ করার চেয়ে সমাধান খোঁজাই তাঁকে বেশি সাহায্য করে। তিনি বলেন, ‘আমিও সকলের মতো হতাশাগ্রস্ত হই। কখনও কখনও রেগে যাই। প্রচণ্ড খারাপ লাগে। তবে যেটা গুরুত্বপূর্ণ হল, এই ধরনের কোনও আবেগই গঠনমূলক নয়। তাই সেটাকে যথাসম্ভব দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করি। কঠিন সময়ে পরবর্তী পরিকল্পনা কী হওয়া উচিত, তা এই ধরনের আবেগের তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ। যেমন পরিস্থিতি অনুযায়ী কী পরিকল্পনা হতে পারে কিংবা কোন ক্রিকেটারকে ব্যবহার করা উচিত- মনের মধ্যে যখন এই সব চিন্তাভাবনা চলতে থাকে, তখন অপ্রয়োজনীয় আবেগকে অনেক ভালো ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’
ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক আরও জানিয়েছেন, কঠিন সময়ে কীভাবে দলকে ঠান্ডা মাথায় নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন তিনি। খানিকটা দার্শনিকের ভঙ্গিতে মাহি বলেন, ‘মাঠে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে, যা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল না। হতে পারে সেটা কোনও ব্যক্তিবিশেষের ভুল। হতে পারে দলগত ভুল সিদ্ধান্ত, যখন আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারিনি। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, তা হল উদ্ভাবনী দক্ষতা। আমিও সেই চেষ্টাই করে গিয়েছি। এমনিতে একটা দল হিসেবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে টুর্নামেন্ট জয়। তবে সেটা দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য। আর তার সফল বাস্তবায়নের জন্য লক্ষ্যকে ছোট ছোট খণ্ডে ভাগ করে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হয়।’ পাশাপাশি ধোনি জানিয়েছেন, ‘টেস্ট ম্যাচে দুটো ইনিংস থাকে। ফলে পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের আগে পরিকল্পনা করার সময় বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে সবকিছুই খুব দ্রুত ঘটে থাকে। তাই এক্ষেত্রে ভাবনার নমনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’